গাজীপুরে পূর্ববিরোধের জের ধরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে। নিহতের নাম শরীফুল ইসলাম পলাশ (২৫)। সে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ছোট দেওড়া এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে।

নিহতের স্ত্রী জুনি বেগম ও স্বজনরা জানান, গাজীপুরের ছোট দেওড়া এলাকার শরীফুল ইসলাম পলাশকে রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় জহিরুল, সাঈদ, সুমন ও জীবন লস্কর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে পাশর্^বর্তী ভোড়া এলাকার মনির হোসেন ওরফে সুন্দর মনিরের বাড়ির পাশে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। এঘটনার পর রাত ১১টার দিকে জহিরুল মোবাইলে ফোন করে পলাশের স্ত্রী জুনি বেগম ও বড় ভাই জহিরকে জানায় দূর্বৃত্তরা আমাদের মারধর করে পলাশকে ধরে নিয়ে গেছে। এখবর পেয়ে পলাশের স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ভোড়া এলাকার চকিদার বাড়ির পাশর্^বর্তী জয়দেবপুর-কলের বাজার সড়কের পাশে পলাশকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। পরে তারা পলাশকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বোন শিরিন আক্তার জানান, কয়েক বছর আগে পলাশ স্থানীয় মনিরের কাছ থেকে এক খন্ড জমি কিনে নেয়। সম্প্রতি মনির ওই জমিটি আত্মসাৎ করতে নানা চক্রান্ত করছিল। এর জের ধরে পলাশকে খুন করা হয়েছে।

জয়দেবপুর থানার এসআই মো. আনোয়ার হোসেন জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে ওই খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে। নিহত পলাশের শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারালো অস্ত্রে কুপিয়ে জখম করার চিহ্ন রয়েছে এবং বাম হাতের দুইটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এঘটনায় স্থানীয় মৃত আলমাছ মেম্বারের ছেলে মনির হোসেনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পলাশ একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী। সম্প্রতি সে মাছ ও গরুর খামারের ব্যবসা শুরু করে। একটি মারামারির মামলায় প্রায় চার মাস হাজতবাসের পর গত কয়েকদিন আগে সে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পায়। সোমবার দুপুর পর্যন্ত থানায় এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি।

মোস্তাফিজুর রহমান টিটু, স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর।