গাজীপুরে রবিবার গাছের সাথে পিকআপের সংঘর্ষে দিনমজুর ও চালক সহ চারজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ১৪জন। হতাহতরা সবাই পিকআপের আরোহী। সংঘর্ষে পিক-আপটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

নিহতরা হলেন-নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার বাতসাতরা গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে রেণু মিয়া (২৭), একই এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে ফরিদ মিয়া (৩০), মনর আলীর ছেলে মো. ফরিদ (৩৫) ও পিক-আপের অজ্ঞাত চালক (৩৫)।

কালিগঞ্জ থানার এসআই গোলাম মাওলা জানান, মুন্সিগঞ্জ থেকে পিকআপ যোগে ১৮জন দিনমজুর কাজ শেষে তাদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার নেত্রকোনার কলমাকান্দায় যাচ্ছিলেন । পথে রবিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পিকআপটি গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার উলুখোলা ব্রীজের পূর্বপাশে পৌঁছলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং ঢাকা-বাইবাস সড়কের পাশের একটি গাছের সাথে পিকআপটি সজোরে ধাক্কা খায়। এতে পিক-আপটি দুমড়ে-মুচড়ে ভেঙ্গে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায় এবং পিক-আপে থাকা ১৮জন শ্রমিক আহত হন। পরে পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরো জানান, ধারণা করা হচ্ছে ঘন কুয়াশা ও চালক চোখে ঘুম নিয়ে পিকআপটি চালাচ্ছিল। এসময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে উলুখোলা এলাকায় গাছের সাথে সজোরে ধাক্কা লেগে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসক তারিক হাসান জানান, হাসপাতালে চারজনকে মৃতাবস্থায় এবং ১৪জনকে আহতাবস্থায় আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে বাতসাতরা গ্রামের মোন্তাজ উদ্দিনের ছেলে আলম (১৯), আলী হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২০), মোসলেম উদ্দিনের ছেলে কামাল উদ্দিন (২৫), সুরুজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মান্নান (১৮), আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুর রশিদ (৪০) ও শান্ত মিয়া (৪৫)-পিতা অজ্ঞাতসহ ৮জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অন্যরা ওই হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, শনিবার সকাল পৌণে ৭টার দিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের পশ্চিম পাশে ইটাহাটা এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ ছয়জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও নয়জন।

মোস্তাফিজুর রহমান টিটু, স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর।