২০১৬ সালে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৪৪ জন নিহত ও ৫২৫৫ জন আহত হয়েছেন। রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে ২০১৬ সালের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়।পরিসংখ্যান প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন নিরাপদ সড়ক চাইয়ের (নিসচা) চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট দুর্ঘটনার সংখ্যা ২৩১৬টি। ২০১৫ সালের তুলনায় এই সংখ্যা ৩১০টি কম।

২০১৫ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজার তিনজন। অপরদিকে ২০১৬ সালে ৪১৪৪ জন নিহত হয়েছে। ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১৭ দশমিক ১৬ শতাংশ কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসার কারণ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি কার্যক্রম জোরদার, নিসচা, বিআরটিএর নিয়মিত গাড়িচালকদের সচেতনতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও সড়ক দুর্ঘটনারোধে জনসচেতনতা কার্যক্রম গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারের ফলে সড়ক দুর্ঘটনা কমেছে। গত তিন বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ হাজার ৭২৯ জন নিহত হয়েছেন।এ তথ্য জানিয়েছেন নিরাপদ সড়ক চাই(নিসচা) আন্দোলনের সভাপতি চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তিন বছরে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৫ হাজার ৭২৯ জন। এর মধ্যে ২০১৪ সালে ছয় হাজার ৫৮২ জন, ২০১৫ সালে পাঁচ হাজার তিনজন ও ২০১৬ সালে চার হাজার ১৪৪ জন। ২০১৬ সালের জুন মাসেই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন ৩৭১ জন।সংগঠনটির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আমাদের দেশে জনগণের তুলনায় সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থা যথোপযুক্ত নয়।যার জন্য প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা। ঘর থেকে বের হলেই বা খবরের পাতা উল্টালেই চমকে উঠতে হয় সড়ক দুর্ঘটনার খবর পড়ে। অশিক্ষিত চালক, ত্র“টিপূর্ণ যানবাহন, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থা, জনগণের অসচেতনতা, অনিয়ন্ত্রিত গতি, রাস্তার অপর্যাপ্ততা, আইন ও তার প্রয়োগ না হওয়া সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ বলে চিহ্নিত করা যায়। সংবাদ সম্মেলনে নিরাপদ সড়ক চাইয়ের মহাসচিব শামীম আলম, যুগ্ম সম্পাদক সাদেক হোসেন বাবুল, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মিরাজুল মঈন জয় প্রমুখ ছিলেন।