ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক বলেছেন, সিটি করপোরেশনের সিদ্ধান্ত অমান্য করে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পাকা মার্কেট খুলে দেওয়ার কারণে এখন কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় ব্যবসায়ীদের নিতে হবে।শুক্রবার বিকেলে গুলশান-১-এর ডিএনসিসি মার্কেট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক এ কথা বলেন।২ জানুয়ারি এই মার্কেটে আগুন লাগে।এতে মার্কেটের কাঁচাবাজার অংশটি ধসে পড়ে। আর পাকা মার্কেটও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দলের মতামতের পর মার্কেটের এই অংশটি খোলা হবে কি না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান মেয়র আনিসুল হক। কিন্তু তাঁর এই কথার তোয়াক্কা না করেছে পাকা মার্কেটের ব্যবসায়ীরা আজ থেকে মার্কেটটি চালু করেন।
বিকেলে ডিএনসিসি মার্কেট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আনিসুল হক। সিটি করপোরেশনের সিদ্ধান্ত না মেনে পাকা মার্কেট খুলে দেওয়া প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের কোনো সংঘাত নেই। বাইরে থেকে দেখে মনে হচ্ছে পাকা মার্কেটটি ভালো আছে। তবে এটি ঝুঁকিপূর্ণ কি না, সেটা কেউ বলতে পারছেন না। এখন দোকান খোলার কারণে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা (অ্যাকসিডেন্ট) হলে এর দায় ব্যবসায়ীদের নিতে হবে। তিনি বলেন, মার্কেট খোলার ব্যাপারে আর কয়েকটা দিন ব্যবসায়ীরা অপেক্ষা করলে ভালো হতো।এদিকে, শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর পাকা মার্কেটের সামনে ব্যবসায়ীরা দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন। সেখানে পাকা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রিজভী বলেন, মার্কেটটি আজ থেকে খুলে দেওয়া হলো। তিনি বলেন, পাকা মার্কেটের ২০ শতাংশ দোকান বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে অংশ ভালো আছে, এর মধ্যে সামনের দিকের ৪০ শতাংশ দোকানই আজ খুলে দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর গুলশান মার্কেটে আগুনের ঘটনায় ধ্বসে পড়া অংশের অপসারণ কাজ শুরু করেছে দমকল বাহিনী।তবে তা সময়সাপেক্ষ বলে জানিয়েছেন, দমকল বাহিনীর মহাপরিচালক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান। পাকা মাকেটটি ঝুকিপূর্ণ কিনা তা খতিয়ে দেখতে বুয়েটের একটি তদন্ত দল কাজ করবে বলে জানিয়েছেন, ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক।এদিকে দোকান মালিকরা ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন মেয়রের কাছে। আর পাকা মাকের্টের অধিকাংশ দোকান খুলে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আগুনে গুলশান মার্কেটের ধ্বসেপড়া অংশের অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে, তবে ধোয়ার কুন্ডলি এখনো দৃশ্যমান ক্ষতিগ্রস্ত মাকের্ট ভবনে। পাকা মাকের্টের বৈদ্যুতিক লাইন চালুর কাজও চলছে।আর মাকের্টের সামনে অবস্থান নিয়ে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে ব্যবসায়ীরা বিক্ষভ করছেন।পাকা মাকের্টের যে অংশ পুড়ে গেছে সেই অংশের আগুন এখনো পুরোপুরি নেভেনি বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।দমকল বাহিনীর গাফিলতির অভিযোগও করচেন কেউ কেউ।এদিকে, পাকা মাকের্টের অধিকাংশ দোকান খুলে দেয়ার কথা জানালেন মাকের্ট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি।চলছে গুছানোর কাজ, অবিলম্বে দোকান চালু করতে চান ব্যবসায়ীরা।ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক জানিয়েছেন, পাকা মার্কেটটি ঝুকিপূর্ণ কিনা তা খতিয়ে দেখতে বুয়েটের একটি তদন্ত দল কাজ করবে।