নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটন টেস্টে পঞ্চম উইকেটে ৩৫৯ রানের জুটি গড়েছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। ভেঙ্গে যায় ৪১ বছরের পুরনো রেকর্ড। ১৯৭৬ সালে লাহোরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে ২৮১ রানের জুটি গড়েছিলেন পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াদাদ ও আসিফ ইকবাল।পাশাপাশি ৪৪ বছর আগের পুরনো আরও একটি রেকর্ড ভেঙ্গেছেন সাকিব-মুশফিকুর। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রতিপক্ষ দলের যেকোন উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের ক্ষেত্রে এটি এখন চতুর্থস্থানে। এতে ভেঙ্গে যায় পাকিস্তানের মুশতাক আহমেদ ও আসিফ ইকবালের রেকর্ড। ১৯৭৩ সালে ডানেডিনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ উইকেটে ৩৫০ রানের জুটি গড়েছিলেন মুশতাক ও আসিফ।দীর্ঘদিনের পুরনো সব রেকর্ডগুলো ভাঙ্গতে গিয়ে নিউজিল্যান্ডে বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে যেকোন উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটিও গড়েন সাকিব ও মুশফিকুরের। কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের আগের জুটির রেকর্ডটি ছিলো ১৬১ রানের। ২০০৮ সালে ডানেডিনে করেছিলেন জুনায়েদ সিদ্দিকি ও তামিম ইকবাল।

এদিকে, তামিম ইকবালকে টপকে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস খেললেন সাকিব আল হাসান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২১৭ রানের চোখ ধাঁধানো ব্যক্তিগত সংগ্রহ পান সাকিব। ফলে তামিমের ২০৬ রানের ব্যক্তিগত ইনিংসটি পেছনে পড়ে যায়।২০১৫ সালে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টের তৃতীয় ইনিংসে ২০৬ রান করেন তামিম। ঔ স্কোরটিই হয়ে যায় বাংলাদেশের কোন খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস।তবে ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের দ্বিতীয় দিন ২১৭ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচচ ব্যক্তিগত রানের মালিক বনে যান সাকিব। তার ২৭৬ বলের ইনিংসে ৩১টি বাউন্ডারি ছিলো। বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এ ম্যাচে ডাবল-সেঞ্চুরির স্বাদ পান সাকিব।

বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের মালিক মুশফিকুর রহিম। ২০১৩ সালে গল টেস্টে শ্রীলংকার বিপক্ষে ২০০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মুশি।