মংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় ডুবে যাওয়া কয়লা বোঝাই জাহাজটি উদ্ধারে এখন পর্যন্ত কোন তৎপরতা শুরু হয়নি। তবে ডুবে যাওয়া জাহাজটির মাস্টার ব্রিজের উপরের কিছু অংশ দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে জাহাজের মাস্টার সোহেল রানা। তিনি আরো জানান, শুক্রবার সকালে বন্দর চ্যানেলের হিরণপয়েন্ট থেকে প্রায় ১০ নটিক্যাল মাইল দূরে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ের ১০ এবং ১২ নম্বর বয়ার মাঝামাঝি এলাকায় প্রচন্ড ঢেউয়ের তোড়ে তলা ফেটে ডুবে যায় এম,ভি আইসগাতি। এরপর প্রায় এক ঘন্টা সাগরে ভেসে থাকার পর অপর আরেকটি কোস্টার জাহাজ এসে তাদেরকে উদ্ধার করে। জাহাজ ডুবির ঘটনায় জাহাজের মাস্টার সোহেল রানা শনিবার দুপুরে মংলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। জাহাজটি উদ্ধার করা হবে, তবে কবে নাগাদ উদ্ধার কাজ শুরু হবে সে বিষয়ে মালিক কোন সিদ্ধান্ত জানাননি বলে জানিয়েছেন জাহাজের মাস্টার।

জাহাজ মালিক মো: ফারুক কাজী বলেন, ডুবন্ত কার্গো তুলতে যে ধরণের ডুবরি দল ও যন্ত্রপাতি প্রয়োজন তা মংলা এবং খুলনায় নাই। আমরা চট্টগ্রামের স্যালভেজদের সাথে যোগাযোগ করছি, আশা করি চলতি সপ্তাহের মধ্যেই আমরা উদ্ধার কাজ শুরু করতে পারবো।বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার ওয়ালিউল্লাহ জানান, মুল চ্যানেলের বাহিরে কয়লা বোঝাই জাহাজটি ডুবেছে। এতে দেশী-বিদেশী জাহাজ ও অন্যান্য নৌযান চলাচলে কোন সমস্যা হবে না। কয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজ ডুবির ঘটনায় পূর্ব সুন্দরবনে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: সাইদুল ইসলাম বলেন, কার্গো ডুবেছে রিজার্ভ ফরেস্টের বাহিরে এতে আমাদের কোন দায়দায়িত্ব নেই। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় থাকা বিদেশী জাহাজ এম,ভি লেডিমেরি থেকে প্রায় ৯শ ৬০ মেট্টিক টন কয়লা বোঝাই করে যশোরের নওয়াপাড়ার উদ্দেশে ছেড়ে আসার পর পথিমধ্যে শুক্রবার সকালে ফেয়ারওয়ের ১২ নম্বর বয়া সংলগ্ন এলাকায় ঢেউ ও ¯্রােতের মধ্যে পড়ে তলা ফেটে ডুবে যায়। ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রায় ৪ হাজার ৮ মে: টন আমদানী করা এই কয়লার মালিক যশোরের মেসার্স নওয়াপাড়া ট্রেডাস।