বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) ডাবল সেঞ্চুরির রেশ রয়ে গেছে এখনও।সেই ইনিংস লিটন কুমার দাসকে এনে দিল আরও বড় পুরস্কার। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জায়গা পেয়েছেন ভারত সফরের একমাত্র টেস্টের দলে। চোট কাটিয়ে ফিরেছেন পেসার শফিউল ইসলাম। অনুমিতভাবেই নেই চোট কাটিয়ে পুরো ফিট হতে লড়তে থাকা পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। চোটের কারণে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের স্কোয়াডে না থাকা তিন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারই উতরে গেছেন ফিটনেস টেস্টে। সব ঠিকঠাক থাকলে হায়দরাবাদ টেস্টে টস করবেন মুশফিকুর রহিমই। ঊরুর চোট কাটিয়ে ফিট ইমরুল কায়েস। মুমিনুল কাটিয়ে উঠেছেন পাঁজরের ব্যথা।

লিটনকে জায়গা দিতে সবশেষ টেস্টের দল থেকে জায়গা হারিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। রুবেল হোসেন বাদ পড়েছেন শফিউল ফেরায়। অন্যদের চোটে হুট করেই টেস্ট খেলে ফেলা নাজমুল হোসেন শান্তর ভারত সফরে না থাকাটা স্বাভাবিকই।অভিষেক টেস্টে ক্রাইস্টচার্চে ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে কার্যকর একটি ইনিংস খেলেছিলেন নুরুল। উইকেটের পেছনে ছিলেন দুর্দান্ত। তার কিপিং সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন নেই নির্বাচকদেরও। তবে ব্যাটিং সামর্থ্য বিবেচনায় বেছে নিয়েছেন তারা লিটনকে। মুশফিক যদি কিপিং করতে না পারেন বা শেষ মুহূর্তের চোটে খেলতে না পারেন, তাহলে ব্যাটিং একটু দুর্বল হয়ে যায়। সেই ভাবনাতেই দলে ফেরানো হয়েছে লিটনকে।

২০১৫ সালের মাঝামাঝি ভারতের বিপক্ষেই টেস্ট অভিষেক হয়েছিল লিটনের। ৩ টেস্ট খেলে ৩ ইনিংসে একটি অর্ধশতকে ৯৭ রান করেছিলেন ৩২.৩৩ গড়ে। টানা রান খরায় জায়গা হারিয়েছিলেন সীমিত ওভারের ক্রিকেটে। তবে টেস্ট দলে জায়গা হারানোর কারণ ছিল চোট। সেই চোট থেকে ফিরে বিসিএলে ডাবল সেঞ্চুরিটি ছিল দারুণ সময়োচিত। ফলও পেলেন হাতে নাতে। নুরুলকে বলতেই হয় দুর্ভাগা।মুস্তাফিজের ব্যাপারটি নিউ জিল্যান্ড সফরের মতোই রহস্য থেকে গেল। ফিজিও-ট্রেনাররা বলছেন বাঁহাতি পেসারের তেমন কোনো সমস্যা নেই। মুস্তাফিজ নিজে বলছেন ব্যথা আছে। কোনো ক্রিকেটার নিজে খেলতে আত্মবিশ্বাস না পেলে তাকে দলে রাখা কঠিন!ক্রাইস্টচার্চে উইকেট না পেলেও রুবেল বেশ ভালো বোলিং করেছিলেন। তবে নির্বাচকরা মনে করিয়ে দিলেন, নিউ জিল্যান্ড সফরে জায়গা পেয়েছিলেন তিনি শফিউল চোট পাওয়ায়। শফিউল ফেরায় রুবেলকে জায়গা হারাতে হয়েছে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই।চোট পাওয়ার আগে দারুণ বোলিং করছিলেন শফিউল। ফেরার পর ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছেন দুটি ম্যাচ। জাতীয় লিগে একটি ম্যাচে বোলিং করেছিলেন ৩০ ওভার, বিসিএলের ম্যাচে ২১ ওভার। দুই ম্যাচেই নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।

১৫ সদস্যের মূল স্কোয়াডের বাইরেও আরেকজন পেসারকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হবে প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য। মূল পেসারদের বিশ্রাম দেওয়া হবে প্রস্তুতি ম্যাচে। সেই বাড়তি পেসার আবু জায়েদ চৌধুরী। সবশেষ চারটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ২৮ উইকেট নিয়েছেন সিলেটের এই পেসার। সব ম্যাচেই ছিল ইনিংস ৫ উইকেট। প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্যই নেওয়া হবে ডানহাতি পেসারকে।বৃহস্পতিবার সকালেই হায়দরাবাদের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে দল। রোব ও সোমবার দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ। ৯ ফেব্র“য়ারি শুরু একমাত্র টেস্ট।

বাংলাদেশ দল: মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহ, সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, কামরুল ইসলাম রাব্বি, তাইজুল ইসলাম, শুভাশীষ রায় চৌধুরী, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, শফিউল ইসলাম।