রাজধানীর তিতুমীর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথমবর্ষের ছাত্র নাইম কাজী দুরারোগ্য অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়াতে আক্রান্ত হয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে মিরপুরে ডেলটা ক্যান্সার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। অর্থকষ্টে থাকা নাঈমের খোজ-খবর ও চিকিৎসার বিস্তারিত জানতে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম (বোয়াফ)।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় মিরপুরে ডেলটা ক্যান্সার হাসপাতালে দেখতে যান বোয়াফ সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়। এ-সময় সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক ইকরামুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাজারুল ইসলাম জুয়েলসহ অন্যান্য নেতাকর্মী সঙ্গে ছিল।

কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, আমরা সাধারণত বিভিন্ন সময়ে যে অপ্রয়োজনীয় খরচ করে থাকি তার কিঞ্চিৎ পরিমাণ অর্থ যদি সমাজের অবহেলিত মানুষ এবং অর্থকষ্টের অভাবে চিকিৎসা নিতে পারছে না; এই ধরনের মানুষের জন্য ব্যয় করতে পারি, কঠিন সময়ে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে পারি তাহলে আমাদের মানবিকতা যেমন সমুন্নত ও বৃদ্ধি পাবে, তেমনি কিছু সুন্দর জীবনও আলোর পথে এগিয়ে যেতে সহায়তা পাবে।

চাঁদপুর হাজীগঞ্জের রাজারগাও গ্রামের কাজী বাড়ির শ্রমিক মো. ইসমাইল ও ফাতেমা বেগম রুবি দম্পত্তির এক মেয়ে ও দুই ছেলে সন্তানের মাঝে ২য় ১৯ বছরের নাঈম কাজী। দুরারোগ্য অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়াতে আক্রান্ত সে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সরাসারি ব্ল্যাড ক্যান্সারে আক্রান্ত নয় নঈম। তবে তার রক্ত উৎপাদন হচ্ছে না। এটাই বড় চিন্তার কারণ এবং এই কারণে তাঁর টিস্যু গুলিও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই বললেই চলে। আরেকটা বড় সমস্যা হচ্ছে প্লাটিনেট নিয়ে। যেখানে একজন সুস্থ মানুষের শরীরে এর পরিমাণ থাকে ১ লক্ষ, সেখানে নাঈমের শরীরে এর পরিমান ২ হাজারের মত। অর্থাৎ শতকরা ২%। সেজন্য প্রতি ১/২ দিন পরপর তাকে প্লাটিনেট দিতে হয়।

এছাড়াও স্ট্রোক করেছেন নাঈম। বয়সে তরুণ হওয়ায় বিদেশে, বিশেষ করে ভারতের টাটা ম্যামোরিয়াল হাসাপাতালে নিয়ে ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে সুস্থ্যতার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও বর্তমানে তাঁর অবস্থা খুবই শোচনীয়।
চিকিৎসার ব্যয়ভার সম্পর্কে জানতে চাইলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে বোননিউরো পরিবর্তনসহ কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার প্রয়োজন।

নাঈমের চিকিৎসার ব্যয়ভারের ব্যাপারে কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, নাঈম অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র। আমরা সম্মিলিতভাবে নাঈমের পাশে দাঁড়ালে সে সুস্থ জীবন নিয়ে আগের মত ক্রিকেট খেলতে পারবে, লেখাপড়ায় ভালো করে যোগ্য নাগরিক হয়ে দেশ ও মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারবে।

কেউ আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতে চাইলে, বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট- ০১৮২০০০৪০৫০, ডাচ বাংলা ব্যাংক পার্সোনাল একাউন্ট- ০১৬৮৪৮২২৩৫৮৫ এবং সোনালী ব্যাংক হাজীগঞ্জ শাখা, ফাতেমা বেগম রুবি, একাউন্ট নং- ১০০১৬৭৭৮১