সংগ্রামী বাঙালির ত্যাগে
মার্চ মাসে সংগ্রামী চেতনায়
গর্জে উঠে বাংলাদেশ
লাল সবুজের বাংলাদেশ।
৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণে
সংগামী জনতা পেল নির্দেশ
“এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম”
সেই মন্ত্রে জেগে উঠলো গোটা দেশ।
২৫ মার্চ পাকবাহিনীর বর্বর হামলায়
ঘুমন্ত বাঙালির রক্তে লেখা এই আলয়
সংগ্রামী বাঙালির জীবনের বিনিময়
আমার প্রিয় বাংলাদেশ।

এগিয়ে যাবার পালা
সাত মার্চ একাত্তরে রেসকোর্স ময়দানে
বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে জনসমুদ্রে পরিণত হলো,
বঙ্গবন্ধু সেই জনসমুদ্রে ঘোষণা করলেন –
“এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ,
এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম”
শুরু হলো আন্দোলন।
বঙ্গবন্ধু কাণ্ডারী।
গোটা দেশ যেনো বঙ্গবন্ধু।
আজ আমরা স্বাধীন
স্বাধীনতা পেয়েছি সংগ্রাম ও ত্যাগে
সেই চেতনাই এখন এগিয়ে যাবার পালা।

সালাম তোমাদের
ঘুমন্ত বাঙালির উপরে মরণ শেল ছুড়ে
পাক বাহিনী দমাতে পারেনি বাঙালিকে
সেই রক্ত নদী সাঁতার দিয়ে
ন’ মাস পর স্বাধীনতা পেলাম।
এই স্বাধীনতা আমার অস্তিত্ব।
সালাম সেই যোদ্ধাদের সেই ত্যাগীদের
যাদের কল্যাণে স্বাধীনতা।

জীবন যুদ্ধে পরাজিত
বাংলাদেশ নামটি লিখতে
কত রক্ত দিতে হয়েছে
প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে
একাত্তরের ষোল ডিসেম্বর পর্যন্ত
তারপর পেলাম স্বাধীনতা।
কিন্তু অপদেবতার হাতে
সেই পতাকা!কি বিস্ময় না?
আজ বিস্মিত হয় না!
লবণ ভাতের মত হয়ে গেছে-
যখন দেখি ন’মাসী সেই যোদ্ধারা
জীবন যুদ্ধে পরাজিত।

যোগাযোগ
মুস্তাক মুহাম্মদ
কারুকাজ, কেশবলাল রোড, যশোর- ৭৪০০