চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জঙ্গি আস্তানা থেকে গ্রেনেড ও বিস্ফোরক উদ্ধারের পর মহাসড়ক কেন্দ্রিক নাশকতায় জঙ্গিরা কোনো ছক আঁকছে কি-না? তা নিয়ে ভাবছেন কেউ কেউ। মিরসরাইয়ে জঙ্গি আস্তানা আবিস্কারের পর এটা নিয়ে নতুন আশঙ্কা করছেন অনেকেই।২০১৩-১৪ সালে সরকার বিরোধী আন্দোলনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নাশকতা চালিয়ে দেশে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করা হয়েছিল। কাভার্ড ভ্যান ও বাস-ট্রাকে আগুন দিয়ে অচল করে দেওয়া হয়েছিল এই মহাসড়ক। টানা অবরোধ হরতালের সময় এই এলাকায় পুড়ে ছাই হয়ে যায় শত শত পণ্য বোঝাই ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস। দফায় দফায় উপড়ে ফেলা হয়েছিল রেল লাইন।

গত বুধবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘেষেই মীরসরাইয়ে জঙ্গি আস্তানা আবিস্কারের পর নতুন করে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে জঙ্গিরা পুরোনো সেই পথে হাঁটছে কি-না?মীরসরাইয়ের কলেজ রোডের এই এলাকাটি মহাসড়কের একেবারে পাশে। টানা অবরোধ হরতালের সময় এই এলাকায় জড়ো হয়ে প্রস্তুতি নিয়ে মহাসড়কে সন্ত্রাসীরা নাশকতা চালাতো বলে অভিযোগ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের।চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা বলেন, মহাসড়কের নিরাপত্তায় কঠোর তদারকিই আছে তাদের। জঙ্গিদের যেকোন পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে প্রস্তুত তারা।আর স্থানীয়রা বলেন, জঙ্গি তৎপরতা কমাতে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।