বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সারা দেশের সরকারী হাসপাতাল গুলোতে গরীব রোগিদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হলেও এর ব্যতিক্রম ঘটেছে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। গতকাল শুক্রবার বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসেই ঐ উপজেলা হাসপাতালটি চিকিৎসক শুন্য হয়ে পরে। ফলে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা অনেক গরীব রোগিকেই চিকিৎসা সেবা না পেয়ে শুন্য হাতে বাড়ী ফিরতে হয়েছে। এনিয়ে জনমতে যথেষ্ট ক্ষোভ দেখা যায়। এদিকে ঐ হাসপাতালটিতে কর্মরত ২জন ডাক্তার থাকলেও দুপুর ১২ টা পর্যন্ত তদের দেখা মিলেনি প্রতিবেদকের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঐ উপজেলা হাসপাতালটির বহিঃবিভাগ খুলে বসে আছেন ৪র্থ শ্রেনীর একজন কর্মচারী। এসময় কথা হয় তার সাথে। তিনি জানান, সকাল ৮টার মধ্যে বহিঃবিভাগ খোলা হয়েছে ঠিকই কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন চিকিৎসক হাসপাতালে আসেননি। তবে তিনি দাবী করে বলেন, হাসপাতালের ভিতরে কয়েকজন মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ডাঃ রয়েছেন। তার কথামত হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ করলেও দেখা মিলেনি কারও সাথে। শুক্রবার হাসপাতালটিতে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা তিস্তার চরাঞ্চলের রাবেয়া বেগম, হাসি বেগম অভিযোগ করে বলেন, সকাল ৯টার সময় হাসপাতালে এসে এখন দুপুর ২ টা পর্যন্ত কোন ডাক্তারের দেখা পাইনি। ফলে এখন চিকিৎসা সেবা না নিয়ে বাড়ী ফিরে যেতে হবে। একই অভিযোগ করেন, ভেলাবাড়ি ও হাজিগঞ্জ থেকে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক রোগী।

এদিকে উপজেলা হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নতিকরণ করা হলেও ৩১ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে হাসপাতালটি। বর্তমানে এখানে ডাঃ সাদিকা বিনতে জামান ও ডাঃ মোঃ হামজা নামের মাত্র ২ জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন। এদের মধ্যে ডাঃ সাদিকা বিনতে জামান রয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প,প, কর্মকর্তার দায়িত্বে। মেডিকেল আবাসিক এলাকায় তার থাকার কথা থাকলেও তিনি থাকেন ২৫ কিঃমিঃ দূরে তিস্তায়। আর ডাঃ মোঃ হামজা রয়েছেন বর্তমানে ছুটিতে। ফলে ঐ দিন চিকিৎসক শুন্য হয়ে পড়ে হাসপাতালটি।

এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প,প, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ডাঃ সাদিকা বিনতে জামানের সাথে সকাল ১১টার দিকে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ভাই রাস্তায় আছি তাই হাসপাতাল আসতে একটু দেরি হচ্ছে।

মোঃ ইউনুস আলী, লালমনিরহাট প্রতিনিধি