প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন মরহুমের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।সোমবার সকাল ৮ টায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এসময়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ প্রমুখ উপ¯ি’ত ছিলেন।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, জিল্লুর রহমানের মতো আদর্শ আর নিষ্ঠাবান নেতার চলে যাওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ হওয়ার নয়। তাঁর আদর্শ যুগ যুগ ধরে নেতাকর্মীদের প্রেরণা যোগাবে।তিনি বলেন, জিল্লুর রহমান একসময় আওয়ামী লীগের প্রাণভোমরা ছিলেন, আজ তাকে খুব মনে পড়ছে। তিনি আমাদের রাজনৈতিক আর্দশ ছিলেন। তাকে সামনে রেখেই আমরা রাজনীতি করেছি। তার শূন্যতা আমাদের এখনও ভোগায়।জিল্লুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে বাবা-মা-ভাইসহ সবাইকে হারানোর পর প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানই ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের অঘোষিত অভিভাবক।বর্ষীয়ান রাজনীতিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর জিল্লুর রহমান ২০১৩ সালের এই দিনে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, আওয়ামী যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন এই নেতার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ও রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত করে।এছাড়াও মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।