গাজীপুরে পৃথক ঘটনায় এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও এক গাড়ি চালককে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়াও পারিবারিক কলহের জেরে অপর এক নারী বিষপাণে আত্মহত্যা করেছে।

জয়দেবপুর থানার এস আই নূরুল ইসলাম জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ইটাহাটা এলাকায় জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করেন সাইদুর রহমান ওরফে আলমগীর (৩৮)। তিনি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বাড়িগাঁও এলাকার আলী আকবর মাস্টারের ছেলে। ইটাহাটা এলাকায় তার একটি মুদি দোকানের ব্যবসা রয়েছে। রবিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলমগীরকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মাথা, গলা ও বাম কাঁধসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’জনকে আটক করেছে।

এদিকে কালিয়াকৈর থানার এসআই মনির হোসেন জানান, পূর্ববিরোধের জেরে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকা হতে কালিয়াকৈর পরিবহন (কেপি) সার্ভিসের এক বাসের চালক আলমগীর হোসেন মুন্নাকে (২৮) বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে প্রতিপক্ষের ক’শ্রমিক আটক করে স্থানীয় পরিবহন অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে চালক মুন্নাকে রাতভর বেধড়ক মারধর করে তারা। পরদিন বৃহষ্পতিবার গুরুতর আহত মুন্নাকে তার বাবা ছাড়িয়ে নিয়ে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে মুন্না মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহতের বাম হাত ও পিঠে ক্ষত চিহ্নসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নিহত মুন্না স্থানীয় বড়ইতলী এলাকার আলী হোসেনের ছেলে।

অপরদিকে, পারিবারিক কলহের জেরে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বড়বাড়ি এলাকার নাসিরের বাড়ির ভাড়াটিয়া মর্জিনা আক্তার রিয়া রবিবার রাতে বিষপাণ করে। তাকে টঙ্গী সরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সোমবার পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। তার বাবার নাম মৃত মকবর আলী চৌধুরী।