অগ্নিকান্ডে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পোড়েনি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত কমিটি।তবে মালামাল পুড়ে ৮০ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা।গত বৃহস্পতিবার রাতে ৩০ তলা ভবনের ১৪ তলার অগ্নিকান্ড তদন্তে ব্যাংক গঠিত তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার জমা দেয় তাদের প্রতিবেদন। একদিন বাদে তা নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে আসেন শুভঙ্কর সাহা।

তিনি বলেন, অগ্নিকান্ডে দাপ্তরিক কোনো নথি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।এই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এই অগ্নিকান্ডে প্রায় ৮০ লাখ টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে প্রতিবেদনে এই মালামালের ক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে।অগ্নিকান্ডের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আহমাদ জামালের নেতৃত্বে এই তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল। যেখানে আগুন লেগেছিল, সেখানে একটি ইলেকট্রিক কেটলি পড়ে থাকার তথ্য জানিয়ে ভবনের ভেতরে এ ধরনের ইলেকট্রিক দ্রব্য না রাখার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

আগুন লাগার কারণ জানতে চাইলে শুভঙ্কর সাহা বলেন, এই কমিটিকে আগুন লাগার কারণ খুঁজতে বলা হয়নি। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিরূপণ করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চলে গেলে নিরাপত্তা বিভাগের কেয়ারটেকাররা যাতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ‘সার্কিট ব্রেকার’ বন্ধ করে, সে সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।এছাড়া বর্তমানে যে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে, তা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে তা প্রতিস্থাপন করে আধুনিক ফায়ার সিস্টেম স্থাপনের সুপারিশও করা হয়েছে। একজন ফায়ার কন্ট্রোলার সেফটি অফিসার নিয়োগের সুপারিশও করেছে কমিটি।শুভঙ্কর সাহা বলেন, ইতোমধ্যেই প্রতিদিন বিভাগীয় কার্যক্রম শেষে কেন্দ্রীয়ভাবে আমাদের ভবনগুলোর বিদুৎ সঞ্চালন বন্ধ করার পদক্ষেপ ন্ওেয়া হয়েছে, শুধু সিকিউরিটি লাইট ব্যাতিত। আমরা আশা করি, আগামীতে এ ধরনের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা আর ঘটবে না।এই অগ্নিকান্ড তদন্তে ফায়ার সার্ভিসের আরেকটি তদন্ত কমিটি করেছে।