সিরিজ বাঁচাতে জয়ের বিকল্প নেই, দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে এটাই হতে পারতো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। তবে সেটাকে ছাপিয়ে অতিথিদের কাছে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাশরাফির বিন মুর্তজার বিদায়ী ম্যাচ। অধিনায়ককে সেই ম্যাচে জয় উপহার দিতে মরিয়া সতীর্থরা।

আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার হবে দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি। দেশের হয়ে এই সংস্করণে এটাই হবে মাশরাফির শেষ ম্যাচ।বুধবার বাংলাদেশ দলের কোনো অনুশীলন নেই। ম্যাচকে সামনে রেখে টিম হোটেল তাজ সমুদ্রে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে দলের প্রতিনিধি হয়ে কথা বললেন মোসাদ্দেক। তরুণ এই অলরাউন্ডারের কণ্ঠে অনুপ্রেরণাদায়ী অধিনায়ককে বিদায়ী উপহার দেওয়ার প্রত্যয়।জয়ের তো কোনো বিকল্প নাই। আমি ব্যক্তিগতভাবে বলবো, আমরা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলবো শুধু মাশরাফি ভাইয়ের জন্য। আমরা সবাই চাইবো ওই ম্যাচ জিতে তাকে বিদায়ী উপহার দেওয়ার জন্য।

আচমকা অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন মাশরাফি। দলও হেরেছে প্রথম ম্যাচে। পরিস্থিতি অনুমেয়। দলের ভেতরে কি চলছে তার খানিকটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলেন মোসাদ্দেক।একটা ম্যাচ জেতার পর সবার মধ্যে যে আনন্দ থাকে, একটা ম্যাচ হারার পর সবার মধ্যে তার সমানই বেদনা থাকে। গত ম্যাচ হারের পর সবার মধ্যেই সেই বেদনা কাজ করছে।টেস্টের পর ড্র হয়েছে ওয়ানডে সিরিজও। টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতা সম্ভব নয়, কোনোভাবেই হারতে রাজি নন মোসাদ্দেক।প্রথম ম্যাচ হারের পর তো বলতে পারছি না, জিতবো। ড্র ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ নেই। আমাদের সামনে একটাই ম্যাচ সেটায় জিতে সিরিজ ড্র করার চেষ্টা করবো।

মোসাদ্দেকের বিশ্বাস, প্রথম ম্যাচে আর ২০ রান করতে করতে পারলে খেলার ফল ভিন্ন রকম হতে পারতো।সে নিয়ে আর না ভেবে পরের ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের আরও দায়িত্ব নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন এই তরুণ।টি-টোয়েন্টিতে অনেক বেশি ইতিবাচক থাকতে হয়, অনেক বেশি আক্রমণাত্মক থাকতে হয়। আমাদের ব্যাটসম্যানদের সবাই ছন্দে আছে, সবাই রান পাচ্ছে। তারা যদি শেষ করে আসতে পারে তাহলে আমাদের জেতা সম্ভব।টেস্টে পিছিয়ে পড়ে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে নিজেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন মোসাদ্দেক। তার বিশ্বাস, সেই একই মানসিকতা নিয়ে সবাই খেললে টি-টোয়েন্টি সিরিজও ড্র করা সম্ভব।