ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ১লা বৈশাখ ১৪২৪ উপলক্ষে সম্মানিত নগরবাসীকে নববর্ষের উষ্ণ অভিনন্দন। রমনা পার্কের গেইট সমূহে দর্শনার্থীদের বাতাসা ও ফুল বিতরণের মাধ্যমে বরণ করা হবে। নববর্ষ উদ্যাপনের লক্ষ্যে রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, চারুকলা ইন্সটিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র সরোবর, হাতিরঝিলসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বাঙালি ঐতিহ্য ধারণ করে নানা আয়োজন থাকবে। নগরের প্রতিটি স্থানে নববর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য ডিএমপি কর্তৃক ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যান চলাচল নির্বিঘœ করতে ট্রাফিক ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলে সম্মানিত নগরবাসী যেন আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের সাথে উৎসব মুখর পরিবেশে বর্ষবরণ করতে পারে সেজন্য নি¤েœ বর্ণিত নিরাপত্তা পরামর্শসমূহ অনুসরণ করার জন্য সম্মানিত সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো-

(ক) সাধারণ নিরাপত্তা পরামর্শসমূহ ঃ
১. ইনডোর এবং সংরক্ষিত স্থানে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে সূর্যাস্তের পরেও অনুষ্ঠান করা যাবে।
২. কেউ মুখোশ পড়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না, এমনকি মঙ্গল শোভাযাত্রায় আয়োজক সংস্থা চারুকলা ইনষ্টিটিউট এর সদস্যরাও মুখোশ ব্যবহার করতে পারবে না। তবে হাতে করে মুখোশ বহন করা যাবে।
৩. যে কোন প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নিন। সর্বসাধারণের সহায়তায় পুলিশ কন্ট্রোলরুম, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও রবীন্দ্র সরোবরে সাব-কন্ট্রোলরুম স্থাপিত হয়েছে। এছাড়া পুলিশ কন্ট্রোলরুম, শাহবাগ থানা ও ধানমন্ডি থানায় যোগাযোগ করুন।
৪. শৃঙ্খলা বজায় রাখুন। প্রবেশপথে তল্লাশী করার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যকে সহায়তা করুন।
৫. আপনার সঙ্গীয় কেউ হারিয়ে গেলে রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থিত পুলিশ সাব-কন্ট্রোলরুমে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করুন।
৬. আপনার সাথে শিশু/কিশোর থাকলে অবশ্যই তাদের পকেটে চিরকুটে আপনার বাসার ঠিকানা ও প্রয়োজনীয় মোবাইল নম্বর লিখে রাখুন। প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য গ্রহণের পরামর্শ দিন।
৭. ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে গেলে পূর্বেই নির্ধারণ করে রাখুন কোথায় এবং কখন একত্রিত হবেন।
৮. নিরাপত্তার স্বার্থে হ্যান্ডব্যাগসহ যে কোন ধরণের ব্যাগ বহন করা যাবে না।
৯. অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে পান্তা-ইলিশ কিংবা যে কোন খাদ্য গ্রহণের পূর্বে খাবারের মান পরীক্ষার পাশাপাশি মূল্য সম্পর্কে নিশ্চিত হন।
১০. মোবাইল চোর এবং ছিনতাইকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
১১. আপনার আশেপাশে অথবা দৃষ্টি সীমায় কোন সন্দেহজনক ব্যক্তি, বখাটে ব্যক্তির চলাচল, সন্দেহজনক বস্তু/দ্রব্যাদি দৃষ্টিগোচর হলে তাৎক্ষনিক পুলিশকে সংবাদ দিন।
১২. ১লা বৈশাখ বিকাল ৫:০০ ঘটিকার মধ্যে রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও রবীন্দ্র সরোবর এলাকাসহ যে সকল উন্মুক্ত স্থানে বৈশাখী সমাবেশ হবে সে সকল এলাকা ত্যাগ করার জন্য সম্মানিত নগরবাসীকে অনুরোধ করা হলো।
১৩. অনুষ্ঠানস্থলে সন্দেহজনক কোন সরঞ্জাম/বস্তু/ব্যাগ/অস্ত্র/ছুরি/কাঁচি/পটকা/দাহ্য পদার্থ/ক্ষয়কারক তরল/ব্লেড/নেইল কাটার/দিয়াশলাই/ গ্যাসলাইট সাথে বহন করা যাবে না।
১৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বহিরাগতরা ১৮.০০ ঘটিকার পর অবস্থান করবেন না।
১৫. এবছর ১লা বৈশাখ শুক্রবার দিনে হওয়ায় ঢাকা মহানগরীতে জুম্মার সময় অর্থাৎ ১২.৩০ ঘটিকায় হতে ১৪.০০ ঘটিকায় পর্যন্ত কোন অনুষ্ঠান না করা এবং বাদ্য বাজনা না বাজানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
১৬. অনুষ্ঠানস্থলে/প্রকাশ্য স্থানে ধুমপান আইনত দন্ডনীয়। এসকল স্থানে ধুমপান না করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
১৭. আপনি কোন দ্রব্যাদি পেয়ে থাকলে তা সাথে সাথে পুলিশ কন্ট্রোলরুম, সাব-কন্ট্রোলরুমে লস্ট এন্ড ফাউন্ড সেন্টারে অবহিত করুন।
১৮. শুধুমাত্র সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হকারদের বসতে দেয়া হবে।
১৯. ভুভুজেলা (বাঁশি) বিক্রয়, বাজানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ লক্ষ্যে নিজে সচেতন হউন ও অপরকে ভুভুজেলা বাঁশি ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করুন।
২০. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ১৩ই এপ্রিল সন্ধ্যা ০৬:০০ ঘটিকা হতে ১৪ই এপ্রিল রাত ০৯:০০ ঘটিকা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সরবরাহকৃত স্টিকার ব্যতিত যানবাহন প্রবেশ নিষিদ্ধ। স্টিকার ব্যতিত গাড়ী প্রবেশের চেষ্টা না করার জন্য অনুরোধ করা হলো। টিএসসি এলাকায় কোন মটরসাইকেল ব্যবহার করা যাবে না।
২১. টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট সম্পূর্ণরুপে বন্ধ থাকবে। সর্বসাধারণকে উক্ত গেইটে অহেতুক ভীড় না করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
২২. ১লা বৈশাখ রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সকল প্রবেশ গেইট বিকাল ০৪:০০ ঘটিকার সময় বন্ধ করা হবে। বিকাল ০৪:০০ ঘটিকার পর দর্শনার্থীদের ভিতরে প্রবেশের চেষ্ট না করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
২৩. সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও রমনা পার্কের সকল গেইট বিকাল ০৪:০০ ঘটিকার পর বাহির গেইট হিসেবে ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
২৪. রমনা পার্ক ও সোহারাওয়ার্দী উদ্যানে ডিএমপি কর্তৃক বিনামূল্যে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করার ব্যবস্থা থাকবে।
২৫. মোটর সাইকেলে চালকের পিছনে কোন লোক বহন করা যাবে না। তবে মোটর সাইকেলের পিছনে কোন আরোহী যদি স্ত্রী/নাবালক সন্তান হয় সেক্ষেত্রে বিবেচনা করা যাবে।

অনুষ্ঠানস্থলে নির্ধারিত নি¤œলিখিত প্রবেশ/বাহির পথ ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো-

রমনা পার্ক ঃ
প্রবেশ পথ ঃ অরুণোদয় (সুগন্ধা’র বিপরীতে), রমনা রেস্তোরা গেইট, অস্তাচল (শিশুপার্কের বিপরীতে)।

বাহির পথ ঃ উত্তরায়ণ (পুলিশ ভবন ক্রসিং, মিন্টো রোডের শেষ প্রান্ত) ও বৈশাখী গেইট (ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের বিপরীতে)।

প্রবেশ এবং বাহির পথ ঃ শ্যামলীমা (কাকরাইল মসজিদ) ও স্টার গেইট (মৎস্য ভবন) ও নতুন গেইট (শিখা চিরন্তনের বিপরীতে)।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
প্রবেশ পথ ঃ বাংলা একাডেমীর বিপরীতে নতুন গেইট, শিখা চিরন্তন গেইট, ছবির হাট।

বাহির পথ ঃ ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট সংলগ্ন গেইট, রমনা কালী মন্দির গেইট, তিন নেতার মাজার গেইট।

উল্লেখ্য যে, টিএসসি সংলগ্ন গেইট সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।

বিঃ দ্রঃ ঃ বিকাল ০৫.০০ ঘটিকার পরে রমনাপার্ক ও সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের সকল গেইট (প্রবেশ ও বাহির) বাহির গেইট হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

(খ) প্রয়োজনীয় ফোন নম্বর
পুলিশ কন্ট্রোলরুম ঃ ৯৫৫৯৯৩৩, ৯৫৫১১৮৮, ৯৫১৪৪০০, ০১৭১৩-৩৯৮৩১১, ডিএমপি ফোন নং- ১০০।

পুলিশ সাব-কন্ট্রোলরুম ঃ
১। রমনা
২। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
৩। রবীন্দ্র সরোবর
রমনা থানা ঃ ০১৭১৩-৩৭৩১২৫।
শাহবাগ থানা ঃ ০১৭১৩-৩৭৩১২৭।
ধানমন্ডি থানা ঃ ০১৭১৩-৩৭৩১২৬।

মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম-বার, পিপিএম
কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা।