বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটে (ব্রি) ১০টি উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনসহ প্রতিষ্ঠানের গবেষণা সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেশ কিছুু উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য প্রায় ২১০ কোটি টাকার বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে।

গাজীপুরস্থিত ব্রি অডিটরিয়ামে সোমবার সকালে ‘‘ব্রি’র ভৌত সুবিধাদি ও গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধিকরণ’’ শীর্ষক প্রকল্পের পরিচিতি কার্যক্রম ও গবেষণা কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। এ ছাড়া এ প্রকল্পের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জে ব্রি’র দুুটি নতুন আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনসহ গাজীপুরে প্রতিষ্ঠানটির সদর দফতর ও অন্যান্য আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।

ব্রি’র মহাপরিচালক ড. ভাগ্য রানী বণিকের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফজলে ওয়াহেদ খোন্দকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা উইংয়ের যুগ্ম প্রধান মো. আনোয়ার হোসেন। ব্রি’র পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মো, শাহজাহান কবীর স্বাগত ভাষণ দেন এবং অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন ব্রি,র পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. আনছার আলী।

কর্মশালায় উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী প্রকল্পের মূল কার্যক্রমের মধ্যে আরো রয়েছে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্রি উদ্ভাবিত ধানের জাতসমূহ মাঠ পর্যায়ে পৌঁছানো, ল্যাবরেটরি ও গবেষণা মাঠের সুযোগ বৃদ্ধি, দেশে উচ্চ শিক্ষার (পিএইচডি) মাধ্যমে ১০ জন দক্ষ বিজ্ঞানী গড়ে তোলা, ১ হাজার ১২৫ জন সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও ৪ হাজার ৩২০ জন মডেল কৃষককে নতুন প্রযুক্তি হস্তান্তর বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান, ৫০ জন কর্মকর্তাকে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান, বিজ্ঞানী-কর্মকর্তাদের বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও সফরের সুযোগ বৃদ্ধি, কেন্দ্রীয় গবেষণাগার নির্মাণ, যানবাহন ক্রয় এবং বিদ্যমান অফিস ও গবেষণাগারের উন্নয়ন। বিগত ২০১৬ সালের জুন মাস থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে, যা আগামী ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।