উত্তর কোরিয়ার পরমাণু প্রকল্প নিয়ে দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তে থাকা উত্তেজনা প্রশমনে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার আহ্বান জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস।মধ্যস্থতার উদ্যোগ নিতে রাজি থাকা দেশের উদাহরণ দিয়ে পোপ বলেন, নরওয়ে সব সময়ই সাহায্যের জন্য প্রস্তুত আছে।

কোরীয় উপদ্বীপের চলমান সংকট ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ শুরু হওয়ার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলেও সতর্ক করেন পোপ।তিনি বলেন, এ যুদ্ধ মানবতার সুন্দর দিকগুলোকে ধ্বংস করে ফেলবে।সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা ও হুমকি উপেক্ষা করে শনিবার ভোররাতের দিকে আরও একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া।দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, উৎক্ষেপণের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রটি বিস্ফোরিত হয়। মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে পিয়ংইয়ংয়ের এটি দ্বিতীয় ব্যর্থ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা।উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের উত্তরে সাউথ পেওংগান প্রদেশের একটি সাইট থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয় বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার।নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোয় উত্তর কোরিয়ার সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এর মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া চীন এবং চীনের প্রেসিডেন্টকে অসম্মান করেছে।ট্রাম্পের টুইট, উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে চীন ও চীনের প্রেসিডেন্টের ইচ্ছাকে অসম্মান করেছে। যদিও আজকের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ব্যর্থ। খারাপ!
দুইদিনের সফর শেষে মিশর ছেড়ে যাওয়ার জন্য বিমানে ওঠার পর সেখানে থাকা সাংবাদিকদের পোপ ফ্রান্সিস বলেন, “বিশ্বে অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে আছেন। অনেক মধ্যস্থতাকারী আছেন, যারা নিজেরাই সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছেন। যেমন: নরওয়ে।(কোরীয় উপদ্বীপের) বর্তমান পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে। এ সংকট সমাধানের একমাত্র পথ আলোচনা, কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান।জাতিসংঘ এখন ‘অনেক দুর্বল হয়ে গেছে’ বলেও মন্তব্য করেন পোপ।উত্তর কোরিয়ার পরমাণু প্রকল্প নিয়ে ২০০৩ সালে ছয়-পক্ষ (উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান ও রাশিয়া) আলোচনা শুরু করেছিল। কিন্তু ২০০৯ সালে উত্তর কোরিয়া ওই আলোচনা থেকে সরে যায়।