বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত এপ্রিল মাসে সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৮৫ কোটি ৩০ লাখ ১৬ হাজার টাকার ভারতীয় চোরাচালান পণ্য ও মাদকদ্রব্য আটক করেছে। এ সময়ে মাদক পাচার ও চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩৫ জনকে আটক করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিজিবির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। তাতে বলা হয়, আটক মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৪১ হাজার ৮৩৬টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ২৭ হাজার ৫০২ বোতল ফেনসিডিল, ৯৮৫ কেজি গাঁজা, ১৭ হাজার ৫৮৭ বোতল বিদেশি মদ, চার কেজি ১১৩ গ্রাম হেরোইন, দুই হাজার ৫৯৬টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন এবং ১৬ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭৮টি বিভিন্ন ধরনের অবৈধ বড়ি।

চোরাচালান পণ্য আটক করা হয় ২২ হাজার ৬৯৭টি শাড়ি, নয় হাজার ১০৫টি থ্রিপিস, শার্টপিস, পাঁচ হাজার ১৯৬ মিটার থান কাপড়, তিন হাজার ৮১৩টি তৈরি পোশাক, ১০ হাজার ১৮৪ সিএফটি কাঠ এবং সাত কেজি ৫৫১ গ্রাম স্বর্ণ। এ ছাড়া দুটি পিস্তল, তিনটি বন্দুক, সাত রাউন্ড গুলি, ৫০টি এয়ারগান এবং একটি সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করে বিজিবি। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত বিজিবি ৫১৪ কোটি ৬১ লাখ ৯০ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান পণ্য ও মাদকদ্রব্য আটক করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

বিজিবি লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মোর্শদ চোরাচালান প্রতিরোধে এলাকাবসীর সহযোগিতা চেয়ে বলেন, মাদকসহ চোরাচালান রোধে সীমান্তের গ্রামগুলোতে নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। আগামী দিনেও তা অব্যাহত থাকবে।