ভারতের সঙ্গে যেমন বন্ধুত্ব রাখি তেমনি ন্যায্য দাবিও আদায় করিÑএটাই আমাদের নীতি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।শনিবার বিকেলে কক্সবাজারের বঙ্গোপসাগরপাড়ের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন হয় বলেই জনগণ তাদের ভোট দেয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি জনগণের দুর্দিনেও নেই, উন্নয়নেও নেই। রামু-উখিয়ার ঘটনার সঙ্গে বিএনপি জামাত জড়িত ।তিনি বলেন, নির্বাচনে না গিয়ে তারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। রামু-উখিয়ায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ঘরবাড়ি-উপাসনালয়ে হামলার ঘটনার সঙ্গে বিএনপি জামাত জড়িত বলেও তিনি অভিযোগ করেন। দেশের অধিকার আদায়ে আওয়ামী লীগ সর্বদা সচেষ্ট বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যেমন বন্ধুত্ব রাখেন তেমনি ন্যায্য দাবিও তার সরকারই আদায় করতে পারে।

সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে কক্সবাজারে যারা ইয়াবা পাচারে জড়িত তাদের কঠোর হাতে দমনের হুঁশিয়ারি দেন শেখ হাসিনা। এ সময় সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের মাধ্যমে যারা ইসলামকে কলুষিত করছে তাদেরকে বরদাশত করা হবে না বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি। মাদক পাচারের বদনাম থেকে পর্যটন শহর কক্সবাজারকে তুলে আনার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শনিবার এই জেলায় কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনের পর জনসভায় তিনি বলেন, আমি শুনেছি কক্সবাজারের বদনাম রয়েছে, এখান থেকে নাকি ইয়াবা সাপ্লাই হয়।এটা বন্ধ করতে হবে। যেই এর সাথে জড়িত তাকে শাস্তি পেতেই হবে।

কক্সবাজারে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ হয়েছে। কয়েক বছর আগে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনেও তার নাম আসে।তবে বদি তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা একটা জিনিসই চাই। শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষক জনগণ সবার কাছে চাই… সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

শনিবার সকালে বোয়িং বিমানে চেপে কক্সবাজার পৌঁছে পর্যটন শহরটিতে সুপরিসর বিমান চলাচল উদ্বোধনের পরে ইনানীতে গিয়ে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।এরপর বিকালে কক্সবাজার শহরে ফিরে জনসভাস্থল শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাঁচটি প্রকল্প উদ্বোধন এবং আটটির ভিত্তিস্থাপন করেন তিনি।কক্সবাজারের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, খালি হাতে আমি আসিনি, উপহারও নিয়ে এসেছি।কক্সবাজার বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে আরও পরিকল্পনার কথা জানান সরকার প্রধান। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন এবং চার লেইনের সড়ক করার আশ্বাস দেন তিনি।শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন নগরী হিসেবে কক্সবাজার গড়ে উঠবে।মহেশখালীতে চারটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা। এই দ্বীপটিকে ডিজিটাল উপজেলা ঘোষণার কথাও বলেন তিনি। সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনের পরিকল্পনার কথাও তিনি বলেন।