রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিকে চরমপন্থী দলের নেতা বলছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার ভোররাতে উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের চর দেলুন্দি গ্রামে কথিত এই বন্দুকযুদ্ধ হয়।পুলিশের ভাষ্য, ঘটনাস্থল থেকে একটি একনলা দেশীয় বন্দুক, একটি ওয়ান শুটার গান ও তিনটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন।নিহত ব্যক্তির নাম করম আলী ওরফে কদম আলী (৩৮)। তাঁর বাবার নাম কোবাদ আলী। বাড়ি দেবগ্রাম ইউনিয়নের আদর্শ গ্রাম।পুলিশের দাবি, নিহত কদম আলী সর্বহারা লাল পতাকা গ্রুপের আঞ্চলিক নেতা ছিলেন।

গোয়ালন্দ ঘাট থানা-পুলিশের ভাষ্য, দেবগ্রামের চর দেলুন্দি এলাকায় একদল চরমপন্থী সভা করছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। রাজবাড়ী পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও গোয়ালন্দ ঘাট থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযানে যায়। উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে চরমপন্থীরা। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে চরমপন্থীরা পিছু হটে। ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা। পরে তাঁকে শনাক্ত করা হয়। গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা আবুল কালাম আজাদ বলেন, নিহত করম আলীর বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।নিহত করম আলীর খালা ময়না বেগম বলেন, করম আলী দীর্ঘদিন ধরে বাড়িছাড়া ছিলেন। প্রায় তিন মাস আগে মায়ের মৃত্যুর পর একবার বাড়িতে এসেছিলেন। এলাকায় কারও সঙ্গে তাঁর বিরোধ ছিল না। তবে তিনি খারাপ দল করতেন বলে শুনেছেন।