গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মুক্তিপণের দাবীতে এক রংমিস্ত্রিকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে মুক্তিপণের টাকা না দেওয়ায় অপহৃত ওই রং মিস্ত্রির স্ত্রীকে গণধর্ষণ করেছে অপহরণকারীরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ শনিবার যুবলীগের এক নেতাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ডালিম হোসেন (২৫), তার ভাই পৌর যুবলীগ নেতা রাজীব হোসেন (২২), একই উজেলার চন্দ্রা পল্লীবিদ্যুৎ দীঘিরপাড়া এলাকার মুক্তি দেওয়ানের ছেলে রবিন দেওয়ান (২৩) এবং একই এলাকার আঃ জলিলের ছেলে রিপন হোসেন (২৪)।

কালিয়াকৈর থানার এসআই মোঃ মোশারফ হোসেন তুহিন এবং অপহরণের শিকার রং মিস্ত্রী শামিম মিয়া জানান, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি এলাকার রবিন দেওয়ান তার বাড়িতে রং করার কথা বলে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে স্থানীয় রংমিস্ত্রি শামিম মিয়াকে কৌশলে অপহরণ করে বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে রবিন ও রাজীবসহ অপহরণকারীরা হাত-পা বেঁধে অপহৃত ওই রং মিস্ত্রিকে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং তার পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। অপহৃতের দরিদ্র পরিবার মুক্তিপণের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা ক্ষুব্ধ হয়। একপর্যায়ে রাতে অপহৃত ওই রং মিস্ত্রির স্ত্রীকেও কৌশলে রবিনের বাড়িতে ডেকে নিয়ে মারধর করে অপহরণকারীরা। এসময় মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে অপহরণকারীরা তাকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। পরে গুরুতর অবস্থায় হাত-পা ও চোখ বেঁধে তাদেকে আটকে রাখে অপহরণকারীরা। খবর পেয়ে রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ অপহৃত রং মিস্ত্রি ও গণধর্ষণের শিকার তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে। এসময় এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে অপহরণ ও গণধর্ষণের অভিযোগে ৯জনকে আসামী করে অপহরণের শিকার শামিম মিয়া বাদী হয়ে শনিবার কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। শনিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গণধর্ষণের শিকার ওই নারী স্থানীয় এক গার্মেন্টসের কর্মী।

অপহৃতের স্বজনরা জানান, গ্রেফতারকৃত রাজীব হোসেন গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা।কালিয়াকৈর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, মুক্তিপনের দাবীতে অপহরণ এবং গণধর্ষণের অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষিতাকে পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর গণধষর্ণের ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।