যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধেই তালেবান জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়েছিলো কাতার। কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশেষ দূত মুত্তালাক আল-কাহতানী চ্যানেল আল-জাজিরাকে এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, ‘উন্মুক্ত নীতির অংশ হিসেবে আলোচনা ও মধ্যস্থতার মাধ্যমে শান্তি আনতে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধেই তালেবানদের আশ্রয় দিয়েছিলো কাতার।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, তালেবান গোষ্ঠী এবং আফগান সরকারের মধ্যে আলোচনা এখনো অব্যাহত রেখেছে কাতার।’ ২০১৩ সালে কাতারে তালেবান গোষ্ঠী রাজনৈতিক কার্যালয় খুলে।

‘কাতার সন্ত্রাসীদের লালন ও অর্থায়ন করে’ মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন বক্তব্যের পরই অভিযোগ অস্বীকার করে আল-কাহাতানি বিবৃতি দেন। কাহাতানি বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার অভিযোগের কোন প্রমাণ দেননি।’ সন্ত্রাসীদের পোষে রাখার অভিযোগে কাতারের সঙ্গে সৌদি আরব সহ বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং অন্যান্য আরব দেশগুলি সব ধরণের সঙযোগ বিচ্ছিন্ন করে এবং কাতারকে একঘরে করে। যদিও কাতারের কর্মকর্তারা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছেন এবং এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই বলে দাবি করেছেন। আরও দাবি করেন, তারা সন্ত্রাসবাদ নয় বরং তরুণদের চাকরী, কয়েক লাখ উদ্বাস্তু সিরিয়ানের আশ্রয় ও শিক্ষাদান সহ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মোকাবিলার জন্য কম্যুনিটি ভিত্তিক সহায়তা দিচ্ছেন।

আল-জাজিরার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আল-কাহতানী আরও বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে আমরা সঠিক আইন প্রণয়ন করেছি, আমাদের সন্ত্রাসী অর্থায়ন এবং সন্ত্রাসবিরোধী জাতীয় কমিটি আছে। রয়েছে প্রতিরোধমূলক কর্ম পরিকল্পনাও।’ কাহতানি সবশেষে বলেন, আমরা মনে করি বেকারত্বই সন্ত্রাসবাদের মূল কারণ। আর তাই আমরা বেকারত্ব ঠেকাবার আপ্রাণ চেষ্টা করছি। আল-জাজিরা