সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, চলতি অর্থবছরে ঢাকা মহানগরে ১ লাখ ১০ হাজার ১৮টি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে।বর্তমানে (৩১ মে পর্যন্ত) রাজধানীতে গাড়ির সংখ্যা ১১ লাখ ২৫ হাজার।বুধবার জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এই তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরুর পর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।সংরক্ষিত আসনের দিলারা বেগমের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইন-২০১৭-তে পরিবারপ্রতি গাড়ি সংখ্যার ঊর্ধ্ব নির্ধারণের বিধান রাখা হচ্ছে। ওবায়দুল কাদের জানান, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ঢাকা মহানগরীতে এক লাখ ১০ হাজার ১৮টি গাড়ির নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।৩১ মে পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে নিবন্ধিত গাড়ির সংখ্যা ১১ লাখ ২৫ হাজার বলে জানান মন্ত্রী।সংরক্ষিত আসনের আরেক সদস্য দিলারা বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইন ২০১৭ সালে পরিবার প্রতি গাড়ির সর্বোচ্চ সংখ্যা নির্ধারণের বিধান থাকছে।

দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকারের ‘বাস্তবধর্মী পরিকল্পনায়’ সড়ক দুর্ঘটনা উত্তরোত্তর হ্রাস পাচ্ছে। পুলিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৮ সালে যেখানে ৪ হাজার ৪২৭টি দুর্ঘটনা হয়েছিল, সেখানে ২০১৬ সালে হয়েছে ২ হাজার ৫৬৬টি।পিনু খানের আরেক প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের জানান, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে (জানুয়ারি-এপ্রিল) ৯২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৮৮৮ জন নিহত ও ৭১৬ জন আহত হয়েছেন।

মন্ত্রী জানান, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে (এসডিজি) অনুসমর্থনকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।সড়ক দুর্ঘটনারোধে গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প, কার্যক্রম ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর ফলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।সরকারি দলের সাংসদ দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারের বাস্তবধর্মী পরিকল্পনায় দুর্ঘটনা উত্তরোত্তর কমছে। পুলিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৪২৭টি। ২০১৬ সালে ২ হাজার ৫৬৬টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।সাংসদ পিনু খানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের জানান, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে (জানুয়ারি-এপ্রিল) ৯২৯টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৮৮৮ জন নিহত ও ৭১৬ জন আহত হয়েছে।মন্ত্রী জানান, সারা দেশের মহাসড়ক নেটওয়ার্ক পরীক্ষা করে ২২৭টি ব্ল্যাক স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে শতাধিক ব্ল্যাক স্পটে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।সাংসদ সুকুমার রঞ্জন ঘোষের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক জানান, রেলওয়ের অবৈধ দখলভুক্ত ভূমির পরিমাণ ৩৭৫২ দশমিক ৭৮ একর। রেলভূমির স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রেলওয়ের অন্যান্য বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় পর্যায়ক্রমে অবৈধ দখলভুক্ত ভূমি দখলমুক্ত করা হচ্ছে।সাংসদ নুরুল ইসলাম সুজনের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবহৃত ভূমির পরিমাণ ১০৮৪৩ দশমিক ১৫ একর। রেলওয়ের অব্যবহৃত জমিতে পিপিপির আওতায় আধুনিক হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ, আন্তর্জাতিক মানের পাঁচ তারকা হোটেল-কাম-বাণিজ্যিক ভবন, বহুতল শপিং মল-কাম-গেস্ট হাউস ইত্যাদি নির্মাণের লক্ষ্যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।সাংসদ সানজিদা খানমের প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক জানান, দেশে বার্ষিক কাপড়ের চাহিদা ২ হাজার ৪০০ মিলিয়ন মিটার। এর মধ্যে ১৭০০ থেকে ২০০০ মিলিয়ন মিটার (৭০-৮৩ %) দেশীয় উৎপাদন থেকে পূরণ হয়। বাকি কাপড় চীন, জাপান, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি হয়।সরকারি দলের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ইপিবির (রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত বস্ত্র খাত থেকে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ প্রায় ২৬ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সাংসদ সানজিদা খানমের প্রশ্নে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক জানান, দেশে প্রতিবছর কাপড়ের চাহিদা ২ হাজার ৪০০ মিলিয়ন মিটার।এর মধ্যে ১৭০০-২০০০ মিলিয়ন মিটারের (৭০-৮৩ শতাংশ) চাহিদা দেশে উৎপাদিত কাপড় থেকে মেটানো হয়। বাকিটা চীন, জাপান, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি হয়।মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী চলতি অর্থ বছরের মে পর্যন্ত বস্ত্র খাত থেকে প্রায় ২৬ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিদেশি মুদ্রা এসেছে।