প্রচন্ড গরম কিংবা কাঙ্খিত বৃষ্টি কোনো স্বস্তি আনতে পারে না রাজধানী ঢাকার বাসিন্দাদের। কারণ,একটু বৃষ্টিতেই গলিজুড়ে থইথই পানি। আর জমে থাকা সেই পানি নামতে লাগে অন্তত দুই দিন। তাই বৃষ্টিতে সাময়িক স্বস্তির বদলে ভোগান্তিই হয়ে ওঠে মুখ্য।রাজধানী ঢাকায় গত কয়েকদিন ধরে ঝরঝর বৃষ্টি ঝরছে তো ঝরছেই। এতে বেশির ভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও হাঁটু পানি জমেছে। কোথাওবা কোমর পানি। সেই নোংরা পানি পার হয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে।বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কখনো থেমে থেমে, কখনোবা টানা বৃষ্টি হচ্ছে। গত রাতে ঢাকায় প্রায় একটানা বৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার শনিবার সকালেও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি চলছে। এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। শান্তিনগর, আরামবাগ, মতিঝিল, মিরপুর, বাড্ডা, তেস্তুরী বাজার, নাখালপাড়াসহ বিভিন্ন জায়গায় হাঁটু থেকে কোমর পানি জমেছে। এতে পথচারী ও যানবাহনের আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তার ধারের অনেক বাসাবাড়ি ও দোকানে পানি ঢুকে গেছে।

মাঝারি থেকে ভারীÑযে পরিমাণই বৃষ্টি হোক না কেন, জলজট এবং স্থায়ী-অস্থায়ী জলাবদ্ধতার কবল থেকে রাজধানীবাসীর মুক্তি নেই।শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ২৭ মিলিমিটারের বৃষ্টিতেই তুলনামূলক উঁচু এলাকাও তলিয়ে গিয়েছিল।জলাবদ্ধতার কারণে সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির দিনে রাজধানীতে দিনভর ছিল যানজট, ভোগান্তিতে পড়ে নগরবাসী। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থার দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এই চিত্র পাওয়া গেছে। বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারেবরিশাল চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।সকাল ৯ টা থেকে আগামী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থাায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে বরিশাল চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।এছাড়া সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।পরবর্তী ৭২ ঘন্টায় আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়, উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি গুরুক্তহীন হয়ে পড়েছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবংঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ এলাকায় অবস্থান করছে, যা উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যস্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অব¯’ায় বিরাজ করছে।

প্রচন্ড গরমে কাক্সিক্ষত বৃষ্টি কোনো স্বস্তি আনতে পারে না তেজগাঁও শাহীনবাগের ৬ নম্বর গলির বাসিন্দাদের জীবনে। কারণ, একটু বৃষ্টিতেই গলিজুড়ে থইথই পানি। আর জমে থাকা সেই পানি নামতে লাগে অন্তত দুই দিন। তাই বৃষ্টিতে সাময়িক স্বস্তির বদলে ভোগান্তিই হয়ে ওঠে মুখ্য।গলির বাসিন্দারা বলছেন, সম্প্রতি সেখানে রাস্তার সংস্কারকাজ করা হলেও ড্রেনেজ ব্যবস্থা আগের অবস্থাতেই রয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করায় তা ভরাট হয়ে পানিনিষ্কাশনের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় গলির পানি কখনো কখনো চলে আসছে বাড়ির উঠানে, এমনকি নিচতলার ঘর পর্যন্ত। আর চলাফেরার ভোগান্তির সঙ্গে পচা, দুর্গন্ধযুক্ত সেই পানি বাড়াচ্ছে রোগবালাইয়ের আশঙ্কা।সরেজমিনে দেখা যায়, আগের দিন সন্ধ্যায় হওয়া বৃষ্টির পানি আটকে আছে। গলির মুখে রিকশার জন্য অপেক্ষা করছেন মিনহাজুল করিম নামের এক ব্যক্তি। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, পানি সরার কোনো জায়গা নেই। তাই একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় যেভাবে পানি জমে থাকে, তাতে হেঁটে চলাচল করা এক রকম অসম্ভব ব্যাপার। নোংরা পানিতে গা ঘিনঘিন করে। আবার রিকশাও সব সময় পাওয়া যায় না।

গলির মাঝামাঝি এক সারিতে তিনটি মুদিদোকান। প্রতিটি দোকানের সামনে ইট দিয়ে খানিকটা উঁচু করে রাখা হয়েছে। দোকানিরা বললেন, চলাচলের ভোগান্তি তো আছেই। গলিতে পানি জমে থাকলে বেচাবিক্রিও কমে যায়।এ সময় ওই দোকানগুলোর একটিতে তেল কিনতে আসেন রূপালী পোদ্দার। পানির মধ্য দিয়ে হেঁটে আসতে আসতে তিনি দোকানির উদ্দেশে রসিকতা করে বললেন, ‘এই গঙ্গা-যমুনা কখন শুকাইব কেউ জানে না।

একটু সামনে এগিয়ে গলির ৬৭৪ নম্বর বাড়ির সামনে কথা হলো সবজি ব্যবসায়ী ফরমান আলীর সঙ্গে। তিনি একতলা ওই ভবনের একটি অংশে ভাড়া থাকেন। বুধবার সন্ধ্যার বৃষ্টিতে তাঁর ঘরে পানি ঢুকে যায়। রাতে ঘরের পানি সেচে ফেলতে পারলেও দুর্গন্ধ যায়নি।ভবনের অন্য অংশের বাসিন্দা মো. দিদার বলেন, রাস্তার এই পানি পায়ে লাগলে সাবান-ডেটল দিয়া ধুইলেও গন্ধ যায় না। সেই পানি যদি ঘরে ঢোকে, তাইলে কী অবস্থা হয় কন তো?

ঘণ্টাখানেক ওই গলিতে অবস্থানকালে রাস্তার দুই পাশের বাড়িগুলোর সামনে অনেক ব্যক্তিকে রিকশার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় জলমগ্ন অংশটুকু পার হওয়ার জন্য।বিষয়টি সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ডিএনসিসির ৩ নম্বর জোনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেমায়েত হোসেন বলেন, শাহীনবাগে জলাবদ্ধতার এই সমস্যা নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।অস্থায়ী জলাবদ্ধতা ও জলজটের সৃষ্টি হয়। তা স্বীকারও করলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওয়াসার একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।এমন বৃষ্টিতেই মতিঝিল, দিলকুশা, গুলিস্তান, শান্তিনগর, মৌচাক, মালিবাগ, বেইলি রোডের মতো তুলনামূলক উঁচু স্থানেও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বাদ ছিল না পুরান ঢাকা, ডেমরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা, বৃহত্তর মিরপুরও।

দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে থেকে দৈনিক বাংলার মোড় পর্যন্ত পানি জমে থাকতে দেখা যায়। সাধারণ বীমা ভবনের সামনের রাস্তাসহ দিলকুশার বিভিন্ন এলাকা, গুলিস্তান পার্কের পাশের রাস্তা থেকে জয়কালী মন্দির পর্যন্ত পানিতে সয়লাব ছিল। তলিয়ে ছিল পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার, শ্যামবাজার, সোয়ারী ঘাট, পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা মুগদাপাড়া, বাসাবো, সিপাহীবাগ, গোড়ান, রামপুরা। প্রগতি সরণি এলাকায় আগের বছরগুলোতে এমন জলাবদ্ধতা দেখা না গেলেও গতকাল ওই সড়ক ও যমুনা ফিউচার পার্ক এলাকায় পানি জমতে দেখা গেছে।টিকাটুলীর কামরুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এলাকা থেকে আনসার ক্যাম্প এবং পূর্বদিকে সেন্ট্রাল উইমেনস কলেজের সামনে পর্যন্ত পানি জমে ছিল।

আনসার ক্যাম্প এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, সিটি করপোরেশন জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় চার মাস আগে এখানকার রাস্তা খুঁড়ে মোটা পাইপ বসায়। প্রায় দেড় মাস বন্ধ করে রাখা হয়েছিল রাস্তাটি। তারা বলেছিল, বর্ষায় এলাকায় আর জলাবদ্ধতা হবে না। কিন্তু আধঘণ্টার বৃষ্টিতেই এখানে পানি জমে। গতকাল তা স্থায়ী হয় সাত-আট ঘণ্টা পর্যন্ত।এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৫ নম্বর অঞ্চলের সদ্য বিদায়ী নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল হাসেম বলেন, অন্য এলাকার পানির প্রবাহ আসায় জলাবদ্ধতা হয়েছে।

রাজারবাগ শান্তিনগর এলাকায় সকাল সোয়া নয়টার মধ্যে পানি জমে যায়। সেখানে রিকশা উল্টে দুজন আরোহী আহত হন দুপুর সোয়া ১২টার দিকে। পীরের গলির বাসিন্দা অমিতাভ জানান, গলির কাছে শান্তিনগর-রাজারবাগ সড়কে গত মঙ্গলবার একটি পটহোল (আরসিসি গর্ত) ভেঙে যায়। পরে সেটি রাস্তার তুলনায় উঁচু করে মেরামত করে ডিএসসিসি। সার্কিট হাউস রোড, শান্তিনগর মোড়, রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইনসের সামনে বিকেল পাঁচটায়ও পানি জমে থাকতে দেখা যায়।ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এ ডি এম কামরুল আলম চৌধুরী বলেন, রাজধানীর পানি ধারণক্ষেত্রগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় পাম্প থাকা সত্ত্বেও সময়মতো নিষ্কাশন করা যায়নি। রাজারবাগ-শান্তিনগর ও আশপাশের এলাকায় জমে যাওয়া পানি ফেলার মতো খোলা জলাশয় বা জায়গা নেই। আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেছনে জলাশয় ছিল। মুগদাপাড়ায়ও ছিল। সেগুলো এখন নেই।নগরের প্রাথমিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার অতিরিক্ত জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা ওয়াসার দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।

ছুটির দিনেও যানজট: বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে আরামবাগ থেকে ফকিরাপুল, নয়াপল্টন হয়ে কাকরাইল পর্যন্ত যানজট ছিল দিনভর। যানজটে নাকাল ছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কার্যালয় থেকে মগবাজার রেলক্রসিং, টঙ্গী ডাইভারসন রোড, তেজগাঁও হয়ে মহাখালী, রামপুরা সেতু এলাকা, মালিবাগ, মৌচাক, শান্তিনগর, এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট এলাকা, মিরপুর রোড, কলাবাগান, শাহবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, গ্রিন রোড ও ফার্মগেট এলাকা।যানজটের মধ্যে পল্টন মডেল থানার সামনে বিকেল পাঁচটার দিকে কথা হয় বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনি এলাকার বাসিন্দা ফয়সল আকবরের সঙ্গে। তিনি বলেন, মিরপুরে আত্মীয়ের বাড়িতে ইফতারের দাওয়াতে যাবেন বলে বিকেল চারটার দিকে আরামবাগ এলাকা থেকে তিনি সপরিবারে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। ফকিরাপুল সিগন্যালে প্রায় ১৫ মিনিট আটকে থাকে অটোরিকশা। এখন পল্টন থানার সামনে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে যানজটের মধ্যে আছেন।বৃষ্টির পানিতে সড়ক ডুবে যাওয়ায় বেকায়দায় মুরগি বিক্রেতা। রিকশাচালকদেরও প্যাডেলে দিতে হচ্ছে বাড়তি শক্তি।

শনিবারের বৃষ্টিতে রাজধানীর বাড্ডা, মেরুল, রামপুরা, মালীবাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এ কারণে এসব পথে যানবাহনের দীর্ঘ জটলা তৈরি হয়। কারওয়ান বাজার ও পান্থপথের রাস্তায় জলাবদ্ধতা দেখা যায়। পান্থপথের বসুন্ধরা সিটির পেছনের রাস্তায় মানুষকে কোমরসমান পানি ভেঙে চলাচল করতে দেখা যায়। এই পথেও গাড়ি আটকে থাকে দীর্ঘক্ষণ। ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বহু স্থানে অটোরিকশা বন্ধ হয়ে যায়। পুরান ঢাকার চকবাজার, নাজিমুদ্দিন রোডসহ আশপাশের অলিগলিতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এসব এলাকার বাসিন্দাদের দিনভর দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে।ফকিরাপুল পেট্রলপাম্পের সামনে দেখা যায় প্রায় হাঁটুসমান পানি। সেখান থেকে ফকিরাপুল মোড়ের উত্তর প্রান্তে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের সামনে পর্যন্ত পানি আর পানি। পল্টন থানার সামনে প্রায় ১০০ মিটার সড়ক বাদ দিয়ে আবার পানি। পুরো এলাকায় যানজট। সিএনজিচালিত অটোরিকশা ঠেলতে ঠেলতে এগোতে দেখা যায় অনেক চালককে। চালকেরা জানান, ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বন্ধ হয়ে গেছে। আরামবাগ, ফকিরাপুল, নয়াপল্টন, কাকরাইল এলাকায় এ ধরনের অন্তত ৫০টি অটোরিকশা দেখা যায়। ফকিরাপুল বাজারের কাছে অটোরিকশা বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টির মধ্যেই নেমে যেতে হয় দুজন আরোহীকে। চালক রফিকুল আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বৃষ্টি হইলে পানি জমব, তারপর গাড়ি নষ্ট হইব। এইটা আর কত দিন সহ্য করুম?তবে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, শান্তিনগর, চামেলীবাগ এলাকার প্রধান সড়কে পানি জমতে দেখা যায়নি। সেখানে ৬০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ ও ড্রেনেজ লাইন বসানোর কারণে জলাবদ্ধতা হয়নি বলে এলাকাবাসী মনে করছেন।