মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০১৭-এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সোমবার মন্ত্রিসভার এক নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। অনলাইন যেন সুনিয়ন্ত্রিতভাবে কাজ করে সেজন্য এই খসড়ায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নীতিমালা অনুসারে, অনলাইন নিবন্ধিত করার জন্য একটা সম্প্রচার কমিশন করা হবে। অনলাইনগুলোকে ওই কমিশনের কাছে নিবন্ধিত হতে হবে। কমিশন হওয়ার আগ পর্যন্ত তথ্য মন্ত্রণালয় তা দেখভাল করবে। তবে যেসব পত্রিকা ও টেলিভিশনের অনলাইন সংস্করণ রয়েছে তাদের নিবন্ধন করতে হবে না। কিন্তু কমিশনকে তা জানাতে হবে। এবং নিবন্ধন ফি দিতে হবে। এই ফি নির্ধারণ করবে প্রস্তাবিত সম্প্রচার কমিশন। পাশাপাশি যারা ১৯৭৩ সালের ছাপাখানা ও প্রকাশনা অ্যাক্ট অনুযায়ী নিবন্ধিত নয় তাদের নিবন্ধন করতে হবে। একই সঙ্গে এই কমিশন একটি কোড অব গাইডেন্স তৈরি করবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, নিবন্ধনের জন্য প্রায় এক হাজার ৮০০ অনলাইন গণমাধ্যম আবেদন করেছে। এই নীতিমালার পরে একটি আইন দ্বারা সম্প্রচার কমিশন গঠন করা হবে। ওই কমিশন অনলাইন গণমাধ্যমের নিবন্ধন দেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবারের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদ ভবনের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে।

 

এ ছাড়া আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ চিনি (রাস্তা-ঘাট উন্নয়ন উপকর) আইন-২০১৭ খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে শফিউল জানান, ১৯৬০ সালের আইন দ্বারা এ কার্যক্রম চলে আসছিল। এটি এখন হালনাগাদ করা হয়েছে। পাশাপাশি করও বাড়ানো হয়েছে। উপকর আগে ছিল মণপ্রতি ১২ পয়সা। এখন মণপ্রতি ৫০ পয়সা করা হয়েছে।

এ ছাড়া মন্ত্রিসভায় কৃষিকাজে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১৭ এর খসড়ার এবং অধিগ্রহণকৃত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (চাকরির শর্তাদি নির্ধারণ) বিধিমালা-২০১৩ অনুমোদন দেওয়া হয়।