আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আহসান উল্লাহ মাষ্টার, শাহ এএমএস কিবরিয়া, আইভি রহমানসহ আমাদের ২১ হাজার নেতা-কর্মীর রক্তের দাগ এখনো বেগম জিয়া এবং তার নেতাদের হাতে লেগে আছে। বিএনপি আমলের সে রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। এদেশে তারাই খুন গুম শুরু করেছে। তাদের শাসনামলে দেশে রক্ত গঙ্গা বয়ে গেছে। আমাদের নিখোঁজ অনেক নেতা-কর্মীকে তাদের পরিবার এখনো খুঁজে বেড়ায়। অথচ বিএনপি গুম খুনের কথা বলে। তাদের মুখে গুম খুনের কথা শোভা পায় না। তাদের মুখে এটা হাস্যকর।

মন্ত্রী বলেন, এবারের ঈদে ঘরমুখো মানুষের স্বস্তি দিতে হবে ও নিরাপদ নিশ্চিত করতে হবে সমন্বিতভাবে। ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করার জন্য আমরা প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি। একারণে সংসদ অধিবেশনে না গিয়ে আমি রাস্তায় এসেছি। এবার খুব বেশি দুর্যোগ না হলে ঘরমুখো মানুষকে স্বস্তি দিতে পারব। অন্ততঃ ঈদযাত্রাটা স্বস্তিদায়ক করতে পারব। রাস্তায় জনদুর্ভোগটা সহনীয় মাত্রায় রাখতে পারব। সে রকম প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে বিষয়গুলো মনিটর করছেন।

ঈদকে সমানে রেখে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় মহাসড়কের যানজট পরিস্থিতি ও রাস্তা সংস্কার কাজ পরিদর্শনে এসে বুধবার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনিএসব কথা বলেন।

তিনি বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে ‘প্যাথলজিকাল লায়ার’ বলে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ওর কাজই হচ্ছে পার্টি অফিসে বসে বসে মিথ্যাচার করা। এর জন্যই ওকে ওখানে নিয়োজিত করা হয়েছে। হি ইজ এ প্যাথলজিক্যাল লায়ার। মির্জা ফখরুলের ওপর হামলার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করে রিজভীর মন্তব্যের বিষয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার সমন্বিতভাবে রাস্তায় শৃঙ্খলা বজায় রাখা হবে। গত দু’দিন বৃষ্টি ছিল না। রাস্তায় যেখানে যেখানে পানি জমেছে, সমস্যা হয়েছে তা মেরামত করা হয়েছে এবং মেরামতের কাজ এখনো চলছে। আমি আশাকরি সারা বাংলাদেশের রাস্তা এখন ব্যবহারযোগ্য আছে। আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা, পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ সবাই দিনরাত রাস্তায় কাজ করছে। আমরা সবাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রাস্তায় সক্রিয় আছি।

এ সময় হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মোঃ আতিকুল ইসলাম খান, সড়ক ও জনপথের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান ও গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ সওজের পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সওজ’র দুই নির্বাহী প্রকৌশলীকে শোকজ ॥
কর্তব্য অবহেলার জন্য গাজীপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং ডিএকেএন নাহিন রেজা এবং মানিকগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মহিবুল হককে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।