বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা রাত জেগে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগিতে পার করবেন। পবিত্র কুরআনে এই রাতের ফজিলত সম্পর্কে হাজার রাতের ইবাদতের চেয়ে উত্তম বলা হয়েছে।পবিত্র রমজানের এই রাতে কুরআন নাজিল হয়। তাই মুসলিমরা মহান আল্লাহপাকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও পূণ্য লাভের আশায় রাত জেগে নফল নামাজ আদায়, কুরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার করে অতিবাহিত করে থাকেন।অনেকে কবরস্থানে গিয়ে মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজনের কবর জিয়ারত করে তাদের আত্মার শান্তির জন্য দোয়া করবেন।

লাইলাতুল কদর উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ওয়াজ মাহফিল, দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত করা হবে। এছাড়া তারাবির নামাজের পর সারাদেশে মসজিদে মসজিদে ওয়াজ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত করা হবে।মুসলিমদের কাছে লাইলাতুল কদর অতিশয় মর্যাদাপূর্ণ একটি পবিত্র রজনী। পবিত্র কুরআনে এই রাতের গুরুত্ব তুলে ধরে সুরা কদর নামে একটি পূর্ণাঙ্গ সুরা নাজিল হয়েছে।সাধারণত কুরআন নাজিলের মাস মাহে রমজানের শেষ ১০ দিনের বিজোড় রাতগুলোর কোনো একটিই এই পূণ্যময় লাইলাতুল কদর। তবে ওলামায়ে কেরামরা মনে করেন, রমজান মাসের ২৬তম দিনের শেষের রাতটিই লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা সর্বাধিক।সেই হিসেবে এই রাতটিকেই লাইলাতুল কদর ধরে ধর্মপ্রাণ মুসলিম নর-নারীরা সারারাত নফল নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকারে মগ্ন থাকেন।লাইলাতুল কদরের দোয়া: হযরত আয়শা (রা.) বলেন, আমি বললাম ইয়া রাসুলাল্লাহ, বলুন তো যদি আমি লাইলাতুল কদর পেয়ে যাই তাহলে কী দোয়া করব? তিনি বললেন, তুমি বলবে, হে আল্লাহ, আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করা আপনার পছন্দ, অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। (ইবনু মাজাহ, ৩৮৫০, তিরমিযী, ৩৫১৩)।