বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সারাদেশে মুসলমানরা তাদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে। এদিকে সৌদি আরবে শনিবার চাঁদ দেখা যাওয়ায় আজ রবিবার সেখানে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। সৌদি আরবের রমজান শুরুও হয়েছিল এক দিন আগে এদিকে, সৌদি আরবে শনিবার চাঁদ দেখা যাওয়ায় রবিবার সেখানে ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হয়। সৌদি আরবের রমজান শুরুও হয়েছিল এক দিন আগে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সাধারণত সৌদি আরবের পরের দিনই ঈদ উদ্যাপিত হয়।এক মাস সিয়াম সাধনার পর মুসলমানদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে দেশভেদে ঈদুল ফিতরের দিনক্ষণে তারতম্য হয়। বাংলাদেশে কবে উদ্যাপিত হবে ঈদ তা নির্ধারণে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সদস্যরা রবিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররমমিলনায়তনে বৈঠকে বসেন। শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদের তারিখ নির্ধারণ হয় এ সভায়। সভায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন ।পবিত্র রমজান মাসের ২৯ তারিখ। রোববার সন্ধ্যায় দেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেল আর সারা দেশে বেজে উঠলেণা চিরচেনা সেই সুর ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’।চাঁদ দেখা যাওয়ায় সবার মাঝে বইতে শুরু করেছে আনন্দের বন্যা। শুধু রাতটা পোহালেই শুরু হবে মুসলমানদের মিলনের বন্ধন। রাজপ্রাসাদ থেকে কুঁড়ের ঘর পর্যন্ত খুশির আলোয় আলোকিত হবে। একে অন্যের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করবে, করবে কোলাকুলি। আর পায়েস-সেমাইয়ের পাশাপাশি থাকবে মুখরোচক সব খাবারের ধুম।ঘুম থেকে ওঠার পরই শুররুহয়ে যাবে এসব ধুমধাম। ইতিমধ্যে সবাই ঈদের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছে। প্রত্যেকেই জামাকাপড়সহ পছন্দের জিনিসপত্র কিনেছে এবং কিনছে। বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের মাঝে বিভিন্ন উপহারসামগ্রী বিতরণ করছে। পাশাপাশি ঈদ কার্ডে মনের কথা লিখে প্রিয়জনকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে অনেকেই। চলছে ই-মেইলের মাধ্যমেও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়। ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ঈদের শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে।

পবিত্র ঈদ মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করে এবং সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে। বিশ্ব মুসলিম একই আত্মার বন্ধনে আবদ্ধÑএ কথা স্মরণ করিয়ে দেয় ঈদ। ধনী-গরিব ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিয়ে এক কাতারে শামিল করিয়ে দেয় এ উৎসব। হিংসা-বিদ্বেষ ও অহংকারসহ সব অন্যায় ও পাপাচার মুছে দিয়ে নতুন করে সুখী পবিত্র জীবন যাপন শুরু করার তাগিদ দেয় ঈদ।ঈদের দিন আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই আনন্দে মেতে ওঠে। একেকজন একেকভাবে আনন্দ উপভোগ করে থাকে। বিশেষ করে ছোট ও তরুণ-তরুণীদের আনন্দ উপভোগটা সবারই নজরে পড়ে। তারা ঈদের দিন ভোরে গোসল করে নতুন জামা-কাপড় পরে মিষ্টিমুখ করে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে।ঈদ শব্দের অর্থ আনন্দ। আর আল্লাহর পক্ষ থেকে ঈদ হচ্ছে বান্দার জন্য বিরাট আতিথেয়তা। তাই তিনি ঈদের দিন রোজা পালনকে হারাম করে দিয়েছেন। ফিতর মানে রোজা ভাঙা। ইফতার শব্দও ফিতর থেকে এসেছে। ঈদুল ফিতর মানে রোজা ভাঙার ঈদ। অন্য এক মত অনুযায়ী, ফিতর ফিতরাত শব্দ থেকে এসেছে। এর অর্থ স্বভাব প্রকৃতি। রমজানের দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনায় কষ্ট ও ক্লান্তির পর স্বাভাবিকভাবেই সুখ ভোগের বিষয়টি এসে যায়। ঈদুল ফিতর রোজাদারদের সেই স্বভাবসমেত সুখ উপহার দেয়।ঈদের দিন ভোরে ঈদের নামাজের আগে ফিতরা আদায় করতে হয়। ঈদের নামাজ মাঠে আদায় করাই উত্তম। সম্ভব হলে পায়ে হেঁটে ঈদে যাওয়াও উত্তম। ভিন্ন পথে ঈদগাহে যাতায়াত এবং ভোরে উঠে খেজুর বা মিষ্টি কিছু খাওয়া রাসুল (সা.)-এর সুন্নাত। ঈদের দিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিধান করা উত্তম। নতুন পোশাক পরিধান করার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।ঈদের শুভেচ্ছা : পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সারাদেশে মুসলমানরা ওইদিন তাদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে।ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা পবিত্র রমজানে পুরো এক মাস রোজা পালন করে এখন জামাতে ঈদের নামাজ আদায়ের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগে ঈদ জামাতের প্রস্তুতিও ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে রাজধানীতে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহে। রাজধানীতে ঈদের এ প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। বিকল্প ইমাম হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শায়খুল হাদীস মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুয্যামান।ঈদের প্রধান জামাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‌্যাব ও পুলিশসহ আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক নজরদারি বজায় রেখে চলেছেন। সাদা পোশাকে র‌্যাব এবং পুলিশ সদস্যরাও তৎপর রয়েছেন।ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া শনিবার ঈদগাহ পরিদর্শনে এসে জানান, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের ঈদের জামাতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। নিরাপত্তার স্বার্থে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে মুসল্লিদের প্রবেশ করার অনুমতি দেয়া হবে না।

তিনি বলেন, জননিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাগ বা অন্য কিছু নয়, শুধু জায়নামাজ সাথে নিয়ে মুসল্লিরা জামাতে আসবেন। ব্যাগসহ ঈদগাহে ও জাতীয় মসজিদে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।ডিএমপি পুলিশ কমিশনার বলেন, রাজধানীর প্রায় ৫শ’ স্থানে ছোট-বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। যেসব জায়গায় ঈদ জামাত হবে, সেসব স্থানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সব স্থানেই পোশাকে ও সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা থাকবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে এবারও ৫টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায়। এর পরপর বায়তুল মোকাররম মসজিদে আরো ৪টি জামাত হবে যথাক্রমে ৮টা, ৯টা, ১০টা ও পৌনে ১১টায়। বায়তুল মোকাররমের প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন এ মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী, দ্বিতীয়টিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস মাওলানা ওয়ালিয়ুর রহমান খান, তৃতীয়টিতে জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাশেম, চতুর্থটিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির ধর্মীয় প্রশিক্ষক মাওলানা জাকির হোসেন এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ইমামতি করবেন।ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে বায়তুল মোকাররম মসজিদে সকাল ৯টায় অনুষ্ঠেয় ঈদ জামাত দেশের প্রধান ঈদ জামাত হিসেবে গণ্য হবে। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সকাল ৮টায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। এখানে মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, জাতীয় সংসদের হুইপবৃন্দ, সংসদ সদস্য ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ এলাকার মুসল্লিগণ জামাতে অংশ নেবেন।

ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে প্রতিটি ওয়ার্ডের মসজিদ, মাঠ ও ঈদগাহে ৪/৫টি করে মোট ৪০৮টি ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়েছে।ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র কার্যালয়ের কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় বাসসকে জানান, ডিএসসিসি’র ৫৭টি ওয়ার্ডের প্রত্যেকটিতে ৪টি করে ২২৮টি স্থানে ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়েছে।ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সমাজকল্যাণ অফিসার এনায়েত হোসেন জানান, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৬টি ওয়ার্ডের প্রত্যেকটিতে ৫টি করে মোট ১৮০টি ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়েছে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআয় ঈদের দু’টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায় এবং দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৯টায়। প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন মসজিদের সিনিয়র ইমাম খতিব ড. সৈয়দ মুহাম্মদ এমদাদ উদ্দীন এবং দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন মসজিদের ইমাম খতিব হাফেজ নাজীর মাহমুদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল মেইন গেইট সংলগ্ন মাঠে এবং শহীদুল্লাহ হল লনে সকাল ৮টায় পৃথক দু’টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতি বছরের মতো এবারও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় দেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে সেখানেও ঈদ জামাতের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।গত ঈদুল ফিতরে জঙ্গি হামলার পরও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল, দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত। তাই এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চলছে ঈদ জামাতের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এবার ১৯০তম ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে শোলাকিয়ায়। প্রতিবছরের মতো এবারও জামাত শুরু হবে সকাল ১০টায়। জামাতে ইমামতি করবেন ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসউদ। সকাল পৌনে দশটা থেকে বৃহত্তর এ জামাতটি সরাসরি সম্প্রচার করবে চ্যানেল আই।

শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভা শোলাকিয়ার জামাতকে সফল করতে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। জামাতের প্রস্তুতি ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো দেখতে জেলা প্রশাসকসহ র‌্যাব-পুলিশ ও বিজিবির কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ। তারা দফায় দফায় বৈঠকে বসছেন।ঈদের দিন সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহের ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।এ উপলক্ষে বনানীর ঢাকাগেট থেকে বঙ্গভবন পর্যন্ত প্রধান সড়ক এবং সড়ক দ্বীপসমূহে জাতীয় পতাকা এবং বাংলা ও আরবিতে ঈদ মোবারক লেখা ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে সজ্জিত করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়।বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন ঈদ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলগুলো ঈদ উপলক্ষে টানা ৭ দিন বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচারের ঘোষণা দেয়। ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করেছে।ঈদের দিন দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, ছোটমনি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, আশ্রয়কেন্দ্র, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।

এছাড়া ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রীয়নীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনা টিকেটে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন সব শিশুপার্কে প্রবেশের সুযোগ এবং নগরী জুড়ে বিনোদন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ জাতীয় কর্মসূচি ও নিজ নিজ কর্মসূচির আলোকে ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন।বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে যথাযথ মর্যাদায় সরকারি কর্মসূচির আলোকে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।ঈদ উপলক্ষে মুসল্লীদের নিরাপত্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারা দেশে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।