রাজশাহীর তানোরে ৯ম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরনের মামলায় কাজীসহ ৩জনকে গ্রেপ্তার ও ভিক্টিমকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। (আজ) গতকাল বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত গ্রেপ্তারকৃতদের জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন এবং ভিক্টিমের জবানবন্দি রেকর্ড করে তার পরিবারের কাছে জিম্মায় দেন। মামলার বিবরন, পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার সরনজাই ইউপি’র মানিক কন্যা ভাগনা পশ্চিম পাড়া গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র শাকিল আহম্মেদ (১৯) একই এলাকার জৈনক ব্যাক্তির ৯ম শ্রেনীতে পড়–য়া কন্যাকে স্কুলে যাওয়ার সময় প্রেম প্রস্তাবসহ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। স্কুল ছাত্রী বিষয়টি তার বাবাকে অবহিত করলে ছাত্রীর পিতা বকাটে ওই যুবককে ডেকে নিয়ে এধরনের প্রস্তাব দিনে নিষেধ করেন। এ অবস্থায় ওই বকাটে তার সহযোগী বন্ধুদের নিয়ে গত সোমবার স্কুলে যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে জোর পূর্বক মাইক্রোতে তুলে অপহরন করে নিয়ে গিয়ে মোহনপুর উপজেলার সইপাড়া গ্রামের মৃত মোবারক হোসেনের পুত্র কাজী মোকাদ্দিম হোসেন শাওন (৩০)’র অফিসে নিয়ে মেয়ের ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে করে রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম এলাকায় বকাটে শাকিলের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, এঘটনায় ভিক্টিমের পিতা বাদি হয়ে বকাটে শাকিল এবং কাজীসহ ৫জনকে আসামী করে গত মঙ্গলবার রাতে তানোর থানায় একটি অপহরন মামলা দায়ের করেছেন, মামলার প্রেক্ষিতে মামলার আসামী অপহরনের সহযোগী রাজশাহী মহানগরীর শাহমুখদুম এলাকার পবা নতুন পাড়া মহল্লার মৃত আনোয়ার হোসেনের পুত্র রফিকুল ইসলাম (২৯)এর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে এবং অপহরনকারী বকাটে যুবক শাকিল আহম্মেদ ও কাজী মোকাদ্দিমকে গ্রেপ্তার করেন এবং ভিক্টিমকে উদ্ধার করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তানোর থানার এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন ভিক্টিমসহ গ্রেপ্তারকৃত আসামীদেরকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত আসামীদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন এবং ভিক্টিমের ২২ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করে তার পিতার জিম্মায় দেন।