মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেও উপ-প্রধানমন্ত্রী পদ সৃষ্টির বিষয়টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই গুঞ্জনের বিষয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, উপ-প্রধানমন্ত্রীৃ এটা ¯্রফে একটা গুজব। এটার কোনো বাস্তবতা নেই। এটা একেবারে ভিত্তিহীন মিথ্যা কথা।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেতু ভবনে অস্ট্রেলিয়ার একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কথা বলেন।মন্ত্রিসভায় একটা রদবদল হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রিসভায় রদবদল আসবে কি না, তা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। তবে মন্ত্রিসভায় একটা রদবদল হতে পারে। রদবদল কখন হবে, তা বলতে পারব না।উপপ্রধানমন্ত্রীর পদ সৃষ্টি করা হবে বলে একটা কথা শোনা যাচ্ছে উল্লেখ করে এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকেরা। জবাবে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ গুজব। এ রকম কোনো পদের কথা তাঁর জানা নেই।সরকারের মেয়াদের দেড় বছর বাকি থাকতে মন্ত্রিসভায় রদবদলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নিচে আরেকটি পদ সৃষ্টির গুঞ্জনও ছড়িয়েছে।উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদ সৃষ্টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিলেও রদবদলের সম্ভাবনা নাকচ করেননি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের।

তিনি বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার.. কাকে তিনি রাখবেন, কাকে বাদ দেবেন অথবা এই মুহূর্তে একটা রিশাফল করবেন কি না?তবে একটা রিশাফল বোধ হয় হতে পারে। তবে কোন সময় হবে, কী হবে, সেটা আমি ঠিক জানি না। একটা রিশাফল হতে পারে।রোডম্যাপ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ব্যাপারে এ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের যে বক্তব্য সেটা হচ্ছে এই রোডম্যাপটি বাস্তবায়নের অগ্রগতি দেখে আমরা কথা বলব।তারা যা বলেছেন তা রোডম্যাপ, আমরা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াটা দেখতে চাই।বিএনপির সমালোচনার মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও প্রভাবমুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে দেড় বছরের কর্মপরিকল্পনা রোববার প্রকাশ করেছে কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ‘রোডম্যাপে’ একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে চলমান সঙ্কটের সমাধান হবে না বলে মনে করছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোনো আলোচনা না করে এই রোডম্যাপ দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না।ওবায়দুল কাদের বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে বলেন, একজন মামলার ভয়ে বিদেশ থেকে আসে না, কতিদিন হয়ে গেলে তিনি আর আসেন না। আরেকজন আবার টেমস নদীর পারে গেলেন। উনি যাচ্ছেন আমাদের এ ব্যাপারে আপত্তি বা মন্তব্য থাকার কথা নয়।

খালেদা জিয়া নাও ফিরতে পারেন এমন জনশ্রুতি রয়েছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, গত শনিবার থেকে ফেইসবুকে দেখছি, টুইটারে দেখছি তার স্ট্যাটাস, এতো বেশি সময়ের জন্য একটি বড় দলেরচেয়ারপারসন বিদেশে যাচ্ছে, এখন জনশ্র“তি হচ্ছে তিনি কি মামলার ভয়ে পালিয়ে গেলেন, তিনি কি মামলার ভয়ে ফিরে আসবেন না। মামলায় ১৫০ বার আদালতে সময় চাওয়ার পর এই সন্দেহটা ঘনীভূত হচ্ছে, জনগণের মধ্যে এই গুঞ্জনটা শাখা প্রশাখা বিস্তার করছে। দেশে ফেরার পর খালেদা জিয়া নির্বাচনী রোডম্যাপ বা সহায়ক সরকার গঠনের বিষয়ে ঘোষণা দিতে পারেন।এ বিষয়ে কাদের বলেন, শেখ হাসিনার মত ওই ওয়ান ইলেভেনের সময় সাহস করে তিনি ফিরে আসবেন কীনা, মামলার ভয়ে সময় আবার বর্ধিত হবে কীনা, ফিরে আসার বিষয় সেটা কেবল সময়ই বলে দেবে।