মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টরের সাবসেক্টর কমান্ডার ও আওয়ামী লীগ নেতা মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন আহমেদকে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।

শহরের পাড়েরহাট সড়কের পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে জিয়াউদ্দিন আহমেদকে শায়িত করা হয়। এ সময় যশোর সেনানিবাসের মেজর মো. আলমগীর ইকবাল খানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল গার্ড অব অনার দেয়। এরপর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইনুল রহমান জিয়াউদ্দিনের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং পরিবারের সদস্যদের কাছে জাতীয় পতাকা হস্তান্তর করেন। গতকাল সোমবার বিকেলে পিরোজপুর সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় ঈদগাহ মাঠে জিয়াউদ্দিনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।গত শুক্রবার সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিয়াউদ্দিন শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। গত শনিবার রাতে তাঁর মরদেহ ঢাকায় পৌঁছায়।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউদ্দিন আহমেদ ১৯৫০ সালের ডিসেম্বরে পিরোজপুর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি পিরোজপুর মহকুমা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতিও ছিলেন।উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর ১৯৬৯ সালে জিয়াউদ্দিন পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে যোগ দেন। ১৯৭১ সালের ২০ মার্চ ছুটি নিয়ে লাহোর থেকে দেশে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর জিয়াউদ্দিন চাকরিচ্যুত হন। এরপর তিনি জাসদের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।১৯৮৯ সালে পিরোজপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জিয়াউদ্দিন। তিনি পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদেরও সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ‘সুন্দরবন সমরে ও সুষমায়’ নামে একটি বইও লিখেছেন তিনি।