প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সাথে বাণিজ্যের গতিশীলতা আনতে মঙ্গলবার থেকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর সপ্তাহে ৭দিনই ২৪ ঘন্টা খোলা রয়েছে। পূর্বে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পেয়ে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। সকাল থেকে কাস্টমস হাউস, কার্গো শাখা, ব্যাংকসহ সকল দপ্তরে নতুন গতিতে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এনবিআরের সদস্য (কাস্টমস নীতি) লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের দ্রুত খালাস তথা ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের স্বার্থে আমদানি-রপ্তানি সপ্তাহের প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। সাপ্তাহিক ছুটি ও অন্যান্য ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি পণ্যের পরীক্ষণ, শুল্কায়ন ও খালাস কার্যক্রম চলমান থাকবে। অন্য সময় খালাস হবে।সূত্র জানায়, রাজস্ব সম্ভাবনাময় বেনাপোল কাস্টমস হাউজ। তাই নতুন করে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পদায়ন করা হয়েছে। সম্প্রতি এনবিআরের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি নিয়ে বেনাপোল কাস্টমস হাউজ পরিদর্শন করেন এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান।বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার শওকাত হোসেন জানিয়েছেন, কিছু প্রতিবন্ধকতা প্রথম দিকে থাকলেও বন্দরের সকল কার্যক্রম ২৪ ঘন্টা চালু রাখা হবে। এতে বন্দরের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে গতিশীলতা আসবে। উপকৃত হবেন আমদানি-রফতানিকারকরাসহ বন্দর ব্যবহারকারীরা। রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে।

তবে, সিএন্ডএফ এজেন্টসহ বন্দর ব্যবহারীরা বলছেন, বন্দর ২৪ ঘন্টা খোলা রাখতে হলে পণ্যাগার বৃদ্ধি করতে হবে। তা না হলে অধিক আমদানিকৃত পণ্য রাখা সম্ভব হয়। এমনিতে এই মুহুর্তে বন্দরে ২৫ হাজার মেট্টিকটন পণ্য রাখার ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে রাখা হয় শতাধিক মেট্টিকটন। এতে পণ্যজটে অচল হয়ে পড়ে বন্দর।বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মফিজুর রহমান সুজন বলেন, ২৪ ঘন্টা বন্দর খোলা রাখলে যে সুবিধা রয়েছে, তেমনি অসুবিধাও রয়েছে। আমরা বেশ কিছু সমস্যা চিহ্ণিত করেছি। এরমধ্যে রয়েছে, বন্দরে ক্রেন ফরক লিফটের অভাব, বন্দরের স্থান সংকট, বাইপাস সড়ক চালুসহ বেশ কিছু সমস্যা এখনও বিদ্যামান। এগুলো সমাধান হলেও সকলেই সুবিধা পাবে। তিনি এসব সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।