ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার রুপদা গ্রামে বৃহস্পতিবার মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে দশ বছরের শিশু সাগরকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। সাগর একই গ্রামের ইউসুফ আীর ছেলে। এ ঘটনায় আজ দুপুরে শিশু নির্যাতনকারী আবু বকর ওরফে বাক্কাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গ্রামবাসিদের অভিযোগ, রুপদা গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে আবু বকর ওরফে বাক্কার ঘর থেকে তিনটি মোবাইল চুরি হয়ে যায়। আবু বকর ও তার ছেলে নাসির উদ্দীন এ ঘটনায় সন্দেহ করে শিশু সাগরকে। তারা বাপ-বিটায় মিলে শিশু সাগরকে গাছের সঙ্গে বেধে মারপিট করে। প্রতিবেশি নাছির উদ্দীন বলেন, সাগরের মায়ের সাথে বাবার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। মা ঢাকায় থকে। শিশু সাগর তার বাবা ইউসুফ আলীর কাছে থাকলেও তার কোন খোজ খবর নেয় না বাবা।

তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার সকালে আবু বকরের স্ত্রী তাকে জানায়, শিশু সাগর তাদের ঘর থেকে তিনটি মোবাইল চুরি করেছে। কিন্তু সাগরের কাছ থেকে তারা কোন মোবাইল উদ্ধার করেনি। এতে বিষয়টি তার কাছে রহস্যজনক বলে মনে করেন নাছির উদ্দীন। এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বর ওয়াসিম আকরাম জানান, তিনি সাংবাদিকদের কাছ থেকে ঘটনা শুনেছেন। তিনি মিটিংয়ে আছেন। বাড়ি ফিরে বিষয়টি দেখবেন। অভিযুক্ত আবু বকর ওরফে বাক্কা শিশু নির্যাতনের কথা স্বীকার করে বলেন, আমার ঘর থেকে সাগর তিনটি মোবাইল চুরি করে। আমি তাকে হালকা চড়থাপ্পড় মেরেছি। গাছে বেধে নির্যাতনের কথা তিনি অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, আমি বিষয়টি খোজ নিয়ে আংশিক সত্যতা পেয়েছি। শিশুটিকে গাছে বাঁধা হলেও তাকে মারা হয়নি। পুলিশ অভিযুক্ত আবু বক্কারকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।