রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নতুন নিষেধাজ্ঞাকে মস্কোর বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যযুদ্ধের ঘোষণা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ। বুধবার নতুন এই নিষেধাজ্ঞায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বাক্ষর করার পর প্রতিক্রিয়ায় রুশ প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেছেন।বুধবার সকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিলে স্বাক্ষর করেন। ফলে বিলটি এখন আইনে পরিণত হয়েছে। কংগ্রেস সদস্যরা প্রায় সর্বসম্মতভাবে বিলটির পক্ষে ভোট দেওয়ায় ট্রাম্পের অবশ্য এক্ষেত্রে অন্য কোনও ভালো বিকল্প ছিল না। কারণ বিলটি কংগ্রেসে প্রেসিডেন্টের ভেটো আটকে দেওয়ার মতো যথেষ্ট সংখ্যক কংগ্রেসম্যানের সমর্থন পেয়েছে।এই নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য, ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখলের ঘটনা। এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে এসব ঘটনায় রাশিয়াকে শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চায় মার্কিন কংগ্রেস।

রুশ প্রধানমন্ত্রী এই নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় জানান, এই পদক্ষেপ মার্কিন প্রেসিডেন্টের অক্ষমতা প্রমাণ করে। কংগ্রেস দ্বারা অপদস্ত হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট।ফেসবুকে এক পোস্টের রুশ প্রধানমন্ত্রী জানান, মার্কিন এই নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ নষ্ট করে দেবে। কয়েক দশক ধরে এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব থাকবে যদি না কোনও জাদুকরি কিছু ঘটে।রুশ প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে লিখেছেন, মার্কিন কংগ্রেস ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অপসারণের নতুন পদক্ষেপ নিতে পারে। ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিলে স্বাক্ষর করলেও দাবি করেছেন, বিলটি মার্কিন সংবিধান পরিপন্থী। বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই আইন পাস করার জন্য কংগ্রেস অনেক অসাংবিধানিক পদক্ষেপ নিয়েছে।পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প মনে করেন বৈদেশিক নীতিতে প্রেসিডেন্ট ক্ষমতার উপর হস্তক্ষেপ করেছে কংগ্রেস। রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া ও ইরানের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন করলেও কংগ্রেসের এমন বিষয় মেনে নিতে পারেননি তিনি।ট্রাম্প বলেন, ‘আমি চাই কংগ্রেস আমাদের ইউরোপের মিত্রদের সঙ্গে মিলিত হয়ে ইউক্রেন সংকট সমাধানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করুক। যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে আমাদের কোনও বন্ধু বা মিত্র ক্ষতিগ্রস্ত হোক তা আমরা চাই না।এক পৃথক বিবৃতিতে প্রশাসনের বৈদেশিক নীতি ও অবস্থান সম্পর্কে জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, সমস্যা থাকার পরও জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে তিনি বিলটিতে স্বাক্ষর করেছেন। ইরান ও উত্তর কোরিয়াকে উগ্র রাষ্ট্র হিসেবে দেখলেও রাশিয়াকে এভাবে বিবেচনা করেন না তিনি।