মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি বলেন, সন্ত্রাসীদের কোন দল নেই। তারপরও তারা যদি কোন দলের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে থাকে, তবুও তাদের কোন ছাড় নেই। কালীগঞ্জের সন্ত্রাসী রিমন যে দলেরই হউক তাকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি সন্ত্রীদের গুলিতে নিহত গাজীপুরের কালীগঞ্জ আসনের সাবেক সাংসদ প্রয়াত মোখলেছুর রহমান জিতু মিয়ার ছোট ছেলে হাবিবুর রহমান ফয়সাল মিয়ার ভাদগাতী গ্রামের বাড়ীতে গিয়ে শোক-সন্তপ্ত পরিবারকে সান্তনা শেষে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে একথা বলেন।

এ সময় প্রতিমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে ফয়সালের স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানান। খুনের সঠিক বিচারের আশ্বাস দিয়ে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এই হত্যাকা-ের সঙ্গে যারা জড়িত। তারা যেন কোনো প্রকার ছাড় না পায় এবং সাধারন মানুষ যেন কোন প্রকার হয়রানীর স্বীকার না হয় সেদিকে দৃষ্টি রেখে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে কাজ করতে তিনি নির্দেশ প্রদান করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রিয়জন হারানোর ব্যাথা আমি বুঝি। আমিও এই কালীগঞ্জের মাটিতে আমার বাবা শহীদ ময়েজউদ্দিনকে হারিয়েছি। এ সময় প্রতিমন্ত্রী প্রাক্তন সাংসদ প্রয়াত মোখলেছুর রহমান জিতু মিয়ার কর্মময় জীবনের কথাও তুলে ধরেন।

এ সময় ফয়সালের পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পরিমল চন্দ্র ঘোষ ও কামাল উদ্দিন দেওয়ান, মাজেদুল ইসলাম সেলিম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহআলম দেওয়ান, যুবলীগ সভাপতি বাদল হোসেনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রতিমন্ত্রী পৌরসভার দেওপাড়া এলাকায় দলীয় বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।

উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই রাতে গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ভাদগাতী গ্রামে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ফয়সাল নিহত হন। পরে ওই ঘটনায় নিহতের বড় বোন মাসুমা সুলতানা মুক্তা হয়ে বাদী ঘটনার পর মূল নায়ক তৌহিদুল ইসলাম রিমনকে প্রধান করে ৬ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনতে আসামী করে কালীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় রিমনের বাবাকেও আসামী করা হয়েছে। ঘটনার চারদিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ রিমনকে গ্রেফতার করতে পারে নি।