ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের দলীয় কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ায় হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তিন শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া একই হলে এক ছাত্রলীগ নেতার ডাকে সাড়া দিয়ে গেস্ট রুমে আসতে দেরি হওয়ায় অন্য এক শিক্ষার্থীকে থাপ্পড় মারার অভিযোগ ওঠে। রবিবার (১৩ আগস্ট) রাত ১০টার পরে মুহসীন হলের অতিথি কক্ষে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। তবে ছাত্রলীগের নেতারা বলেছেন হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) শোকের মাস আগস্ট উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে না থাকায় দ্বিতীয় বর্ষের তিন শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই তিন শিক্ষার্থী হলেনÑ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মিলন, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের দ্বীন ইসলাম এবং ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের দিপু ইসলাম।অন্যদিকে, একই দিনে হল শাখা ছাত্রলীগের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলামের ডাকে গেস্ট রুমে যেতে দেরি হওয়ায় উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র নাঈম ইসলামকে থাপ্পড় মারেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। থাপ্পড়ে আহত নাঈম ইসলাম ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

হল শাখা ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানায়, রাত ১০টায় সভাপতি জহির গ্র“পের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলের অতিথি কক্ষে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এর কিছু পরে নাঈম ইসলাম গেস্টরুমে ঢুকলে সেখানে উপস্থিত হল কমিটির পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক শেখ আরিফুল ইসলাম উত্তেজিত হন। এসময় তিনি গেস্টরুমে উপস্থিত অন্য এক সিনিয়রকে দেখিয়ে তার নাম জিজ্ঞেস করেন। সিনিয়র নেতার নাম বলতে না পারায় আরিফ তখন নাঈমের গালে জোরে থাপ্পড় মারেন।এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি ওই শিক্ষার্থীকে আলাদাভাবে আমার রুমে ডেকে ঘটনার বিষয়ে জানতে চেয়েছি। সে বলছে, আগে থেকেই সে অসুস্থ ছিল। জ্বর থাকায় সে গেস্টরুমে গিয়ে অসুস্থতার বিষয়ে সিনিয়রদের জানালে তারা তাকে রুমে পাঠিয়ে দেয়। চড়-থাপ্পড় মারার কোনও অভিযোগ সে করেনি।তিন শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার নির্দেশের বিষয়ে তিনি বলেন, নিদের্শ কে দিয়েছে? হলের প্রেসিডেন্ট নাকি সেক্রেটারি? কেউ এ নির্দেশ দেয়নি। হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।