যশোরের মানবাধিকার সংগঠন ‘রাইটস যশোর’র নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিকের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও হয়রাণির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে যশোরের সদরের রামনগর গ্রামের সরাফত হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা এসব অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ২০১৫ সালে ভারত গমন করেন। এসময় পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে ৭ মাস সরকারি আশ্রমে অবস্থান করতে হয়। সে সময় কোজিকোট আর্ট গ্যালারীতে তার আঁকানো ছবি একক চিত্র প্রদর্শনী হয়। তার লেখা কবিতা-গল্প নিয়ে মালালায়াম ভাষায় বই প্রকাশিত হয়। কেরালা কোজিকোট জেলা প্রশাসক তাকে পুরস্কৃত করে। এরপর তাকে বিমান যোগে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এসব নিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। আমেরিকার রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাট তাকে নিয়ে একাধিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করে। সেই মুহুর্তে রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক তাকে ফোন করে তার অফিসে নিয়ে যায়। এরপর তিনি একটি সেলাই মেশিন প্রদান করেন। বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক তাকে শিখিয়ে দেন, ‘আমি যেন সকলের কাছে বলি, রাইটস যশোর আমাকে ভারত থেকে নিয়ে এসেছে এবং আমার সকল কৃতিত্বের অবদান তাদের। কিন্তু আমি তার কথা মত চলতে রাজি না হওয়াতে তিনি আমার বিরুদ্ধে সুযোগ খুজতে থাকেন।

এরপর তিনি যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে একক চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। সেখানে যশোরের তৎকালীন জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ূন কবীর একটি সেলাই মেশিনসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম প্রদান করেন। কিন্তু রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক তার গ-ির ভেতরে থাকতে বলেন। তার (বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক) সাথে আমার মতের অমিল হওয়াতে তিনি আমাকে অপমান-অপদস্ত করতে থাকেন। এরপর তিনি সুকৌশলে তার ভাই বউকে দিয়ে থানায় অভিযোগ করেন, আমার ভাই ও বোনেরা মিলে আমার ভাবীর কাছে যৌতুক দাবি করি। তাকে নির্যাতন করি। এরপর রাজারহাট বাজারে গিয়ে বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক সমাবেশ করেন। সেখানে তাকে জোর পূর্বক ফোন করে হুমকির মাধ্যমে নিয়ে আসেন। তিনি (বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক) শত শত মানুষের সামনে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে তাকে সমাজে হেয় করেন।