দেশের কৃষক ও শিল্প বাচাতে, পশু পালন উন্নয়ন, চামড়া শিল্প সুরক্ষা, পশুর বর্জ্য রপ্তানী বৃদ্ধি করতে ভারতীয় গরু আমদানী বন্ধের কথা বলেছে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি।কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে অবাধে গরু আসছে- এমন অভিযোগ করে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আরও বলেন, ‘দেশে কোরবানীর যোগ্য প্রায় সোয়া কোটি পশু রয়েছে। কিন্তু যেভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে গরু আসছে। এতে আমাদের দেশীয় গরু ব্যবসায়ীরা মার খাবে।শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব রবিউল আলম এই দাবী জানিয়েছেন।

ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আরও বলেন, ২০ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা পশু পালনে ব্যয় করলে নিজেদের চাহিদা পূরণ করেও মাংস, চামড়া, পশুর বর্জ্য রপ্তানী করে দেশের এক নম্বর রপ্তানীজাত পণ্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে পারবো। দুধের চাহিদাও পূরণ হবে, বাঁচবে গুড়া দুধ আমদানীর অর্থ।তিনি বলেন, দেশের মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য গরুর হাটে চাদাবাজি, অতিরিক্ত খাজনা আদায় বন্ধ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা কিছু অর্থলোভী ব্যবসায়ী ভারতীয় গরু ও মাংস আমদানীর পায়তারা করছে বলেও অভিযোগ করেছেন।রবিউল আলম এ প্রসঙ্গে বলেন, ভারত থেকে মাংস আসলে প্রথমে কম দামে পাওয়া যাবে, কিন্তু পরে বর্তমান পেঁয়াজের মত হবে অবস্থা। তাদের হাতে সব চাবিকাঠি থাকবে তখন। দেশীয় গরু ঠিকমত লালন পালন করলে দুই থেকে আড়াইশ’ টাকা কেজি দামে গরুর মাংস খাওয়া যাবে বলেও মনে করেন তিনি।সংবাদ সম্মেলনে পশুর অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানীকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমেদ, ঢাকা জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নবী হোসেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি হাজী আনোয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।