শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য অনুকরণীয় মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তাসহ অনেক সামাজিক সূচকে ঈর্ষনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে।দেশে প্রথমবারের মত আয়োজিত খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন বাংলাদেশ ফুড সেফটি কনফারেন্স-২০১৭’- এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এ কথা বলেন।

বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম বিশেষ অতিথি ছিলেন।বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই), ফরেন ইনভেস্টরস্ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফআইসিসিআই) এবং মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এমসিসিআই) যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।শিল্পমন্ত্রী বলেন, দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। অন্যান্য কৃষি পণ্য উৎপাদনেও বাংলাদেশ অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ সবজি উৎপাদনে বিশ্বের তৃতীয় এবং চাল, মিঠা পানির মাছ ও ছাগল উৎপাদনে চতুর্থ স্বানে রয়েছে। দেশব্যাপী বাম্পার খাদ্যশস্য উৎপাদনে শিল্প মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হয়েছেন। সরকার এখন নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষায় কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এ লক্ষ্যে ১৮টি মন্ত্রণালয় এবং ৪’শ ৮০টি সংস্থার সমন্বয়ে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলা পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য আদালত স্থাপন করা হয়েছে। তিনি জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুণগতমান নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সর্বোচ্চ সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, শুরু সার উৎপাদন নয়, জনগণের জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য সরবরাহ সহজলভ্য করতে শিল্প মন্ত্রণালয় কাজ করছে। ইতোমধ্যে ভোজ্য লবণে বাধ্যতামূলকভাবে আয়োডিন এবং ভোজ্য তেলে ভিটামিন এ সমৃদ্ধকরণের লক্ষ্যে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোতে সুগার বিট থেকে চিনি উৎপাদনের কাজ চলছে। তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সহায়তায় বাংলাদেশ ইন্সপায়ার্ড প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর আওতায় খাদ্য ও কৃষিভিত্তিক পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উন্নয়নে দক্ষ প্রশিক্ষকের একটি ‘ন্যাশনাল পুল’ তৈরি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কায়কোবাদ হোসেন, বিএসটিআই এর মহাপরিচালক মো. সাইফুল হাসিব, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশের প্রধান কারিগরি পরামর্শক নাউকি মিনামিগুচি, জাতীয় টিম লিডার একেএম নুরুল আফসার, এমসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট নিহাদ কবির ও এফআইসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট রূপালী চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।