ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, জাতীয় ঈদগাহ প্রাঙ্গণে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।এসময় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসিইউ) প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম ও রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মারুফ হোসেন সরদারসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।ডিএমপি কমিশনার বলেন, ডগ স্কোয়াড ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট দিয়ে ঈদগাহ সুইপিং করা হবে। স্ট্যান্ডবাই থাকবে সোয়াট টিম। অন্যান্য সংস্থার সাথে সমন্বয় করে ডিএমপি’র পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

তিনি বলেন, ঈদগাহের চতুর্দিক ও ভেতরে সতর্ক অবস্থায় থাকবে ইউনিফর্ম ও সাদা পোষাকে পুলিশ। জাতীয় ঈদগাহ ও তার আশপাশের নিরাপত্তায় বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা দিয়ে জাতীয় ঈদগাহ ও তার চারপাশে মনিটরিং করা হবে।আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, মুসল্লিদের নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতে জায়নামাজ ছাড়া অন্য কোনো কিছু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না । তবে বৃষ্টি হলে ছাতা সঙ্গে আনা যাবে। কোনো ধরনের ব্যাগ, ভ্যানিটি ব্যাগ, দিয়াশলাই ও দাহ্য পদার্থ সঙ্গে আনা যাবে না। আমরা আশা করছি মুসল্লিরা তল্লাশী কাজে পুলিশকে সহায়তা করবেন।ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রত্যেক মুসল্লিকে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ে দিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করতে হবে। আগত সকল মুসল্লি তিন ধাপে আর্চওয়ে ও শারীরিক তল্লাশীর মধ্যদিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করবেন। ঈদের জামাত শেষে সকলে একসাথে তাড়াহুড়া করে বের না হয়ে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ধীরে সু-শৃঙ্খলভাবে ঈদগাহ থেকে বের হবেন। যথাযথ মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশ ও উৎসবের আমেজে শনিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদ নামাজ ও পশু কোরবানীর মধ্যদিয়ে পালন করবে অন্যতম বৃহত্তম এই ধর্মীয় উৎসব।ঈদের দিন সকাল ৮টায় রাজধানী ঢাকায় প্রধান ঈদ জামাত জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে।আর এক দিন পরই ঈদুল আজহা। তাই নাড়ির টানে আপনজনের কাছে ছুটছেন সবাই।