সহায়ক সরকার সংবিধানেই আছে এমন কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাই সহায়ক সরকার প্রধানের ভূমিকা পালন করবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে।রোববার সকালে বসুরহাট এইচএসসি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ১৯৯০ থেকে ২০১৭ সালের প্রাক্তন ছাত্রদের আয়োজনে ঈদ পুর্নর্মিলনি ও শিক্ষকদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথা বলেন তিনি।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়া ঈদের পর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু রোজার পর ঈদ গেল, এরপর কোরবানী ঈদও চলে গেল, আন্দোলন আর হলো না। বিএনপির মরা গঙ্গে জোয়ার আর আসলো না। বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনে মানুষ বলে এ বছর না ওই বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর। রোজার ঈদ না কোরবানীর ঈদ, আন্দোলন হবে কোন ঈদের পরে- সেটাই এখন মানুষের প্রশ্ন।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সহায়ক সরকারের কথা সংবিধানেই আছে। নির্বাচনকালীন সময়ে শেখ হাসিনার সরকার, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাই সহায়ক সরকার প্রধানের ভূমিকা পালন করবেন। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে।তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া তারিখের পর তারিখ দিয়ে বলেছিলেন দু’মাস পর আসবেন। দু’মাস পার হয়ে রমাজন শেষে ঈদ গেল এখন কোরবানী ঈদ শেষ হলো আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে তিনি টেমস নদীর ওপারে চলে গেলেন। বিএনপির আন্দোলন এখন ভ্যানেটি ব্যাগে। আন্দোলন এখন বেগম জিয়ার ভ্যানেটি ব্যাগে।
মন্ত্রী বলেন, দেশ চালাবে শিক্ষিত লোকেরা, মন্ত্রী হবে সৎ লোকেরা, মন্ত্রী -এমপি হবে মেধাবী লোকেরা। খারাপ লোকেরা ভালো লোকদেরকে চালাতে পারে না। খারাপ লোকদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। দেশকে নিরাপদ রাখতে হলে ভালো, শিক্ষিত এমপি-মন্ত্রী বানাতে হবে।তিনি বলেন, আজ পুরুষের পাশাপাশি শেখ হাসিনার মতো নারীদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সততা ও সাহস সারা দুনিয়ায় প্রসংশিত। নষ্ট রাজনীতি জন্ম দেয় নষ্ট লোকেরা। নষ্ট লোকদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।এসময় শিক্ষার্থীদেরকে উদ্দেশ্ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মাদককের কারণে আজকে আমাদের দেশের তরুণেরা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাদকের কবলে পড়ে আমাদের দেশের যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, তাই তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ মাদককে না বলুন, হাত তোলে শপথ করুন, ইয়াবাকে না বলুন, দুর্নীতিকে না বলুন। এত সুন্দর জীবকে নষ্ট করো না, তোমরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী-৩ আলহাজ্ব মামুনুর রশিদ কিরণ, সহকারি পুলিশ সুপার নব জ্যোতি খিশা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জামিরুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মোঃ ফজলে রাব্বী, মোঃ রবিউল হক, বসুরহাট এইচএসসি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, প্রাক্তন শিক্ষক মিলন মজুমদার, ফজলুল কাদের মিন্টু, পুনেন্দ্র শেখর পাল, ফজলুল হক, শাহ আলম বিএসসি, সাদেক বিএসসি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ইস্কান্দর মির্জা শামীম, কাউন্সিলর আবুল খায়ের, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নুরুল করিম জুয়েল, স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদের সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন মুন্না, সাধরণ সম্পাদক হামিদুর রশিদ বিপ্লব প্রমূখ।