অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, মিয়ানমার সীমান্তে দুটি স্থলমাইন পয়েন্টের খোঁজ পাওয়া গেছে। যাদের একটির বিষ্ফোরণের ঘটনায় এক যুবকের পা উড়ে হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এই নিয়ে মিয়ানমারে তিনটি জায়গা পাওয়া গেলো যেখানে স্থলমাইন রাখা হয়েছে। বিষ্ফোরণে দুটি শিশুসহ অন্তত তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্টে বলা হয়, আহত রোহিঙ্গাকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারের একটি মেডিকেলের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। আমতলির পাশেই পরিচিত দুটি আলাদা আলাদা জায়গায় স্থলমাইন বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এসব স্থলমাইন সেই সব জায়গায় রাখা হয় যেগুলো রোহিঙ্গারা তাদের ক্রসিং পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করে। এটা নিপীড়িত মানুষগুলোর দুর্দশার মধ্যে আরা বেশি নিষ্ঠুর ও অনুভূতিহীন আচরণ বলেই উল্লেখ করেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ক্রাইসিস রেসপন্স ডিরেক্টর তিরানা হাসান।

অ্যামনেস্টির বক্তব্য, এই থেকে আরো প্রমাণিত হয় যে, এই সমস্যা নিজে নিজেই তৈরি হচ্ছে না। মিয়ানমারের অবশ্যই এই ধরনের জঘন্য আচরণ বন্ধ করা উচিত এবং ডিমাইনিং দলকে বর্ডার এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া।

নতুন এই স্থলমাইন বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেখানে যেখান দিয়ে জাতিসংঘের হিসাব মতে গত দুই সপ্তাহে ২৯০,০০০ রোহিঙ্গা পালিয়ে গেছে। মিয়ানমারের নিরাপত্তা কর্মীদের প্রায়শই এই এলাকায় টহল দিতে দেখা গেছে বলেও জানিয়েছে স্থানীয়রা।

১৯৯৭ সালে আন্তর্জাতিক ট্রিটিতে নিষিদ্ধ করার পরও মিয়ানমার আর্মি বিগত কয়েক বছর থেকে নর্থ কোরিয়া ও সিরিয়ার সঙ্গে মিলে স্থলমাইন ব্যবহার করছে। গত ৮ সেপ্টেম্বরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নিশ্চিত করে যে মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের উত্তর অংশের বর্ডারে তুমব্রোর পাশে খুব ব্যস্ত দুটি রাস্তায় স্থলমাইন রোপন করেছে যেখান দিয়ে রোহিঙ্গারা পালিয়ে যাচ্ছে।

তিরানা হাসান আরো বলেন, দায়িত্ব উপেক্ষা করার চেয়ে মিয়ানমারের উচিত বর্ডার এলাকায় মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া। শুধু মানুষকে হতাহত করার জন্য এসব স্থলমাইন ব্যবহার অবৈধ। এসব তো সাধারণ মানুষ ও যোদ্ধাদেরও পার্থক্য করতে পারেনা, কেবল হত্যা করে। জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞদেরও উচিত রাখাইন রাজ্যে এসব বিস্তৃত সহিংসতার বিরুদ্ধে আরো বেশি তদন্ত পরিচালনা করা। এসব স্থলমাইন নিষিদ্ধ করা এবং দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনা।