‘নিসর্গসখা’, ‘প্রকৃতিপুত্র’ নামে খ্যাত নন্দিত প্রকৃতিবিদ ও লেখক দ্বিজেন শর্মা আর নেই। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই প্রকৃতিসখা। দ্বিজেন শর্মার মেয়ে লন্ডন থেকে ফেরার পর মরদেহের সৎকার করা হবে। মরদেহ স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মা। গত ২৩শে জুলাই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।

একুশে পদকে ভূষিত আটাশি বছর বয়সী এই প্রকৃতি বিজ্ঞানী সারাদেশে বৃক্ষরোপণ ও সংরক্ষণে ভূমিকা রেখেছেন। নিসর্গপ্রেমী অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মা প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন। প্রকৃতি ও নিসর্গবিষয়ক লেখালেখিরও পথিকৃৎ দ্বিজেন শর্মা। উদ্ভিদ ও প্রকৃতি নিয়ে লেখা তার গ্রন্থগুলোর মধ্যে হলো শ্যামলী নিসর্গ, বাংলার বৃক্ষ, সপুষ্পক উদ্ভিদের শ্রেণীবিন্যাস, নিসর্গ নির্মাণ ও নান্দনিক ভাবনা, সমাজতন্ত্রে বসবাস, জীবনের শেষ নেই উল্লেখযোগ্য। দ্বিজেন শর্মা ১৯২৯ সালের ২৯ মে সিলেট বিভাগের বড়লেখা থানার শিমুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতা সিটি কলেজ থেকে স্নাতক অর্জনের পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।

প্রকৃতি ও গাছগাছালির প্রতি ভালোবাসা এবং লেখালেখির কারণে দ্বিজেন শর্মাকে ‘নিসর্গসখা’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। তাকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদকে ভূষিত করা হয়েছে। প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১১ সালে অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মাকে ‘প্রকৃতি সংরক্ষণ পদকে ভূষিত করে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন।