প্রতিমন খড় বিক্রি হচ্ছে ১৪শ টাকায়। এক মন খড় কিনতে অপারগ অনেক প্রান্তিক চাষীরা। বিপাকে গরুর খামারী বেপারী ও কৃষক। প্রান্তিক কৃষকরা জানান, ৩৫ টাকা দিয়ে এক কেজি খড় কিনলে গরুর একবারও খাবার হয় না। ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় খড়ের এ আকাশ ছুঁয়া দামে অনেকেই গরু বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কৃষি খাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে গো খাদ্যের অনেক অভাব। বিভিন্ন ব্রি-ধান তুলনামূলকভাবে উঁচু কম য় আবার ধান মাড়াইয়ে শ্রমিক অভাব ও খরচ বাঁচাতে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার অনেকাংশেই দায়ী। আকস্মিক বন্যায় কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতির ফলে গো খাদ্যের অভাব হয়েছে। অনেক কৃষক গরু পালনের প্রতি অনীহা প্রকাশ করেছেন। গরু খামারীদের অভিযোগ, খাদ্য সংকটে অনেক স্বাস্থ্যবান গরুর স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ইয়াছিন আলী নামের এক ব্যবসায়ী জানান, প্রায় ৫ কিলোমিটার দূর থেকে ভ্যানযোগে দুই মণ খেড় (খড়) কিনে এনেছি। ধর ১২শ টাকা। বিক্রেতা নওশের আলী জানান, ১২শ টাকা ধরে খড় কিনেছি, ১৪শ টাকায় বিক্রি করছি। খড়ের বাজার অনেক বেশি চড়া।উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ড. মিজানুর রহমান জানান, পশু পালন বৃদ্ধি পাওয়ায় গো খাদ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তবে এটা সাময়িক, আমরা প্রকল্পের মাধ্যমে ঘাস আবাদ বৃদ্ধির চেষ্টা করছি।