ঘুষ গ্রহণকারী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।ঘুষ গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারে তাদের অফিস, বাসা, এমনকি হোটেলেও কমিশন অভিযান চালাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।সোমবার রাতে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনোমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের (বিএমজেড) প্রতিনিধিদলের সাথে মতবিনিময় সভায় দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।সভায় ইকবাল মাহমুদ কমিশনের চার সদস্যের দলের নেতৃত্ব দেন। অন্যদিকে সাত সদস্যের বিএমজেড প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন অ্যাঞ্জেলিকা স্টডার।

সভায় ইকবাল মাহমুদ বলেন, ঘুষ নির্মূলে কমিশন বছরের শুরু থেকেই কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। এই বছরে ১৭টি ফাঁদ মামলা পরিচালনা করা হয়েছে। বাংলাদেশে ঘুষ গ্রহণকারী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।ঘুষ গ্রহণকারীদের নূন্যতম কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না উল্লেখ করে তাদের এবং পরিবারে মর্যাদা রক্ষা করতে হলে ঘুষ গ্রহণ বন্ধ করার আহ্বান জানান দুদক চেয়ারম্যান।জার্মান উন্নয়ন সংস্থা জিআইজেড দুর্নীতি দমন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে দীর্ঘদিন ধরে সহযোগী হিসেবে কাজ করছে বলে সভায় ইকবাল মাহমুদ জানান।

সভায় দুদক চেয়ারম্যান জানান, কমিশনের মামলায় একসময় সাজার হার ২০ শতাংশে নেমে এসেছিল, ২০১৬ সালে তা ৫৪ শতাংশে উন্নীত হয় এবং ২০১৭ সালের অগাস্ট পর্যন্ত সাজার হার প্রায় ৬৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। কমিশন এতেও সন্তুষ্ট নয়, কমিশন চায় শতভাগ মামলায় সাজা।দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন সম্পর্কে চেয়ারম্যান জার্মান প্রতিনিধি দলকে জানান, দুর্নীতির খবর জানানোর জন্য কমিশনের অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন ১০৬ একটি প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।বিএমজেড প্রতিনিধিদলের নেতা অ্যাঞ্জেলিকা স্টডার তার বক্তব্যে দুর্নীতি কমিশনের বিভিন্ন কর্মসূচিকে স্বাগত জানান।জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কারিগরি সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানান তিনি।সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ, এএফএম আমিনুল ইসলাম, সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিন।এছাড়া জিআইজেড এর রুল অফ ল’ প্রজেক্টের কর্মকর্তা প্রমিতা সেনগুপ্ত, আন্তর্জাতিক কনসাল্ট্যান্ট রিচার্ডস মাইলস, জেআরসিপি প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর কৃষ্ণা চন্দ, পার্টনারশীপ ম্যানেজার মো. আলী রেজা প্রমুখ উপিস্থত ছিলেন।