আঙ্গেলা ম্যার্কেলই জার্মানির চ্যান্সেলর নির্বাচিত হলেন। তবে তাঁর দল সিডিইউ/সিএসইউ প্রায় ৭০ বছরের মধ্যে নির্বাচনে সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে।বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়, ম্যার্কেলের দল ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়ে জার্মান পার্লামেন্টে সবচেয়ে বড় দল হিসেবেই স্থান অক্ষুন্ন রেখেছে। তাঁর জোটের বর্তমান অংশীদার সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি এসপিডি ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তবে আপাতত এই দলটি ম্যার্কেলের সঙ্গে না থেকে বিরোধী দলের আসনে বসার ঘোষণা দিয়েছে।

কট্টর ডানপন্থী, ইসলাম, শরণার্থী ও অভিবাসনবিরোধী অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) ১৩ দশমিক ১ শতাংশ আসন পেয়ে তাঁর তৃতীয় স্থান পেয়েছে। এ ছাড়া এফডিপি সাড়ে ১০ শতাংশ, গ্রিনস পার্টি ৮ দশমিক ৯ শতাংশ ও বাম দল ৮ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে।টানা চতুর্থবার জয় পাওয়ার পর ম্যার্কেল সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর প্রত্যাশা ছিল দল আরও ফল করবে। এএফডি পার্টির উত্থান ঘটায় জনগণের ভয়, উদ্বেগের কথা তিনি শুনবেন বলে জানান।এদিকে নির্বাচনের এই ফলাফলের পর বিক্ষোভ হয়েছে। কট্টর ডানপন্থীরা ম্যার্কেলের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ করেন। ম্যার্কেলের শরণার্থী স্বাগত জানানোর নীতির কট্টর বিরোধী এই বিক্ষোভকারীরা ব্যঙ্গ করে শরণার্থীদের স্বাগত জানানোর প্ল্যাকার্ডও বহন করেন।সাপ্তাহিক ছুটির দিন গতকাল রোববার সকাল আটটা থেকে শুরু হয় জার্মানির পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। সকালের দিকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভিড় কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ভোটার উপস্থিত। ভোট চলে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত।নির্বাচনের আগে সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছিল, ম্যার্কেলেই ক্ষমতায় আসছেন। তাঁর দলটি ৩৬ শতাংশ ভোট পেতে পারে। বুথফেরত জরিপও ম্যার্কেলের আবার ক্ষমতায় আসার আভাস দিয়েছিল।বার্লিন, মিউনিখ, হামবুর্গ, স্টুটগার্ট, ফ্রাঙ্কফুর্ট, ডুসেলডর্ফ, কোলন, হ্যানোভার প্রভৃতি বড় শহরের ভোটকেন্দ্রগুলোতে বিপুলসংখ্যক ভোটার উপস্থিতি ছিল।ম্যার্কেল তাঁর নিজ এলাকা মেকেলবুর্গ ফর পোমেন রাজ্যের রুগেন-গ্রাইফভাল্ডারের ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন। অন্যদিকে, তাঁর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির মার্টিন শুলজ ভোট দেন নিজ এলাকা নর্থরাইন ভেস্টারফেল রাজ্যের ভুরসলেনে।কট্টর ডানপন্থী, ইসলাম, শরণার্থী ও অভিবাসনবিরোধী অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) আগের চেয়ে ভালো করবে সেই আভাসও মিলেছিল।জার্মান পার্লামেন্টে ৫৯৮ আসনের মধ্যে ২৯৯টিতে সরাসরি নির্বাচন হয় আর বাকি ২৯৯ আসনে দলীয় ভোটপ্রাপ্তির শতাংশের হিসাব অনুযায়ী বিভিন্ন দলের তৈরি করা প্রার্থীর তালিকা থেকে পার্লামেন্ট সদস্য হন।