ইরান দাবি করছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা তৈরির। পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে জাতিসংঘের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই এলো ইরানের এই ঘোষণা। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের এয়ারস্পেস কমান্ডার জেনারেল আমির আলি হাজিজাদেহ বলেন, “আমাদের কাছে এই বোমাগুলো রয়েছে। বিমান থেকে নিক্ষেপ করা যাবে এগুলো। লক্ষবস্তুতে চূড়ান্ত আঘাত হানার ক্ষমতা রাখে এগুলো।”

দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা ফার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাজিজাদেহ এই বোমাকে সকল বোমার ‘বাবা’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি দাবি করেন আফগানিস্তানের নাঙ্গারহারের উপর ফেলা মার্কিন বোমারু বিমান এমসি-১৩০ য়ের ম্যাসিভ অর্ডিন্যান্স এয়ার ব্লাস্ট বম্ব (মোয়াব) নামের বোমাটির চাইতেও তাদের বোমা বেশি শক্তিশালী।

মোয়াবই হলো এখনও পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহৃত সবচেয়ে শক্তিশালী অ-পারমানবিক বোমা। ১১ টন ওজনের এই বোমা এক মাইল ব্যাসার্ধের এলাকা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। ইরানের এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এলো, যখন সামরিক কার্যক্রম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটি এক সংকটময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। চলতি মাসের শুরুতে ইরানের গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল, দেশটির সেনাবাহিনী এর সর্বপ্রথম দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে।

২০১৫ তে পারমানবিক কার্যক্রম সীমিত করার শর্তে ইরানের উপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় জাতিসংঘ যা রাতারাতি তাদের বাণিজ্য বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। ইরান দাবি করছে ওই শর্ত মেনেই তারা তাদের প্রতিরক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে ট্রাম্প প্রশাসন এই দাবির সঙ্গে একমত নয়। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে জাতিসংঘের সঙ্গে করা চুক্তির বরখেলাপ করেছে ইরান। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়- এমনসব কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে ইরান।