দুর্গা দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ স্থপন সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভের মধ্য দিয়ে বুধবার শেষ হয়েছে সপ্তমী পূজা। বৃহস্পতিবার মহাঅষ্টমী। বুধবার সকাল ৯টা ৫৮ মিনিট পূর্বে নবপত্রিকা প্রবেশ স্থাপন, সপ্তয্যাদি কল্পারম্ভ এর মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে মহাসপ্তমী। এ উপলক্ষে বিভিন্ন মন্ডপে আজ দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র ও খাদ্য বিতরন করা হয়। সকাল থেকেই পূণ্যার্থীরা বিভিন্ন মন্ডপে অঞ্জলী নেয়ার জন্য ভীড় করতে থাকেন। রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আরতি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার মহাঅষ্টমীর দিন সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটের মধ্যে দুর্গাদেবীর মহাষ্টম্যাদি বিহিত পূজা ও মহা অষ্টমীর ব্রতোবাস। মধ্যাহ্নে মহাপ্রসাদ বিতরন এবং সিন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৬ মিনিটের মধ্যে সন্ধিপূজা সমাপন। মহাঅষ্টমীর মূল আকর্ষণ কুমারী পূজা। ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনসহ কয়েকটি স্থানে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের স্থিরাত্মানন্দ মহারাজ (নিরঞ্জন মহারাজ) বাসসকে জানান, মহাষ্টমীর দিন সকাল ১১টায় কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, যে জগতমাতাকে (দেবী দুর্গা) আমরা আরাধনা করি তিনি সকল নারীর মধ্যে মাতৃরূপে আছেন।এ উপলব্ধি সকলের মধ্যে জাগ্রত করার জন্যই কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।দুর্গা মাতৃভাবের প্রতীক আর কুমারী নারীর প্রতীক। কুমারীর মধ্যে মাতৃভাব প্রতিষ্ঠাই এ পূজার মূল লক্ষ্য।কুমারী পূজার আনুষ্ঠানিকতা সম্পর্কে মহারাজ বলেন, দেবী দুর্গার সামনে বসিয়ে ঠিক যেভাবে তার (দুর্গার) আরাধনা করা হয়, একইভাবে কুমারীকে সে সম্মান প্রদান করা হয়। শুধু মাটির প্রতিমা নয়, নারীর মধ্যেও মাতৃভাব আনা হয়।বিশুদ্ধ স্বভাবের গুণাবলী দেখে একজন নারীকে কুমারী হিসাবে নির্বাচিত করা হয় উলে¬খ করে তিনি বলেন, পূজার আগ পর্যন্ত কুমারীর পরিচয় গোপন রাখা হয়।এছাড়াও নির্বাচিত কুমারী পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন আচার-অনুষ্ঠান করতে পারে বলে তিনি জানান।সারাদেশে এবার পূজার সংখ্যা ৩০ হাজার ৭৭টি। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২৯ হাজার ৩৯৫ টি । গতবারের চেয়েও বেশি ৬৮২টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রাজধানী ঢাকায় এবার পুজো হচ্ছে ২৩১টি, গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২২৯। এ বছর দুটি বেড়েছে।। সবচাইতে বেশি পূজা হচ্ছে চট্টগ্রামে, ১হাজার ৭শ ৬৭টি। এর পরে দিনাজপুরে ১হাজার ২শ ৪২। গোপালগঞ্জে পূজা হচ্ছে ১ হাজার ১শ ৭৫টি।