তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু তথ্য অধিকার আইনের (আরটিআই) পাশাপাশি ২৫ হাজার সরকারি ‘ওয়েবপোর্টাল’কে কাজে লাগিয়ে সুশাসন, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সকল গণমাধ্যম এবং দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বর্ণাঢ্য র‌্যালির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ও দুপুরে শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান। দু’টি অনুষ্ঠানেই সভাপতিত্ব করেন প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. মো: গোলাম রহমান।

তথ্যে প্রবেশাধিকারের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন সাধন’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশব্যাপী এবারের তথ্য অধিকার দিবস পালিত হয়। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সকল বিভাগ একাজে তথ্য কমিশনকে সহায়তা করে।এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেন।এ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র হচেছ জনগণের সজাগ দৃষ্টি। জনগণ যাতে অবাধে প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারে সেজন্যই শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ সালে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করেছে, গঠন করেছে তথ্য কমিশন। শুধু তাই নয় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে জাতীয় তথ্য বাতায়নে সংযুক্ত হয়েছে ২৫ হাজার সরকারি ওয়েবপোর্টাল, যেখানে সকল সরকারি দপ্তরের তথ্য রয়েছে।ইনু বলেন, শুধু আইন এবং তথ্য পাওয়ার সুবিধাই যথেষ্ট নয়, সরকারি ওয়েব এবং তথ্য অধিকার আইন কাজে লাগানোর মাধ্যমেই কেবল জনগণ ও গণমাধ্যম দেশে অবাধ তথ্যপ্রবাহ বজায় রাখতে পারে। এর ফলে নাগরিক সেবা নিশ্চিত হবে, দুর্নীতি ও বৈষম্য দূর হবে, সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে ও ইতিহাস বিকৃতি বন্ধ হবে।প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. মো: গোলাম রহমান সভায় সরকারি-বেসরকারি সকল দপ্তরকে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার তাগিদ দেন।তথ্য কমিশনার নেপাল চন্দ্র সরকার প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং তথ্য অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক শাহিন আনাম এবং তথ্য কমিশনের পরিচালক ড. মো: আব্দুল হাকিম আলোচনায় অংশ নেন।তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার) মো: মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম-সচিব (সম্প্রচার) মো: মুহিবুল হোসেইন, গবেষণা সংস্থাএমআরডিআই’র প্রধান নির্বাহী হাসিবুর রহমান মুকুরসহ মন্ত্রণালয় ও কমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ র‌্যালি ও আলোচনা সভায় অংশ নেন।